অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশ ক্লান্ত লাগে। সারারাত ঘুমের পর সকালে শরীর, মন তরতাজা হওয়ার কথা। কিন্তু উল্টে আরও ক্লান্ত হয়ে যান।
কেন এমন হয়?
১. সরাসরি উত্তর হল পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। প্রতিদিন রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুম হলে সকালে ক্লান্তি, সারাদিন আলস্য আসলে তা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
২. শুধু ৮ ঘণ্টা ঘুমই নয়। ঘুমের ধরণও গুরুত্বপূর্ণ। হালকা ঘুম, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি অভ্যাস থাকলে কিন্তু আপনার বিশ্রামে ঘাটতি হচ্ছে। ৮ ঘণ্টা ঘুম হতে হবে গভীর এবং নিরবিচ্ছিন্ন।
কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমাবেন?
১. এর জন্য প্রথমেই আপনার শিডিউলে নজর দিন। যে করে হোক তাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই রাখুন। সকালের মতো রাতেরও অ্যালার্ম রাখুন। সেই অ্যালার্ম বেজে গেলেই লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ুন। ৮ ঘণ্টা ঘুম হিসাব করবেন। তার অন্তত ৩০ মিনিট আগেই শুয়ে পড়বেন। এই সময়টুকু ঘুম আসতে লাগে।
২. একটা নিয়ম করে ফেলুন। রাতে শোওয়ার আগে অন্তত ২ ঘণ্টা স্মার্টফোনে হাত দেবেন না। ফোন রেখে দিন বিছানা থেকে দূরে কোনও স্থানে। টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি কোনও স্ক্রিনে তাকাবেন না।
৩. ঘুমের অন্তত দেড় থেকে ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ব্যস্ত শিডিউলে তা সম্ভব না হলে একদম হালকা, সহজপাচ্য খাবার খান।
৪. খাওয়াদাওয়ার পর বিছানায় বসে গল্পের বই পড়তে পারেন। ধীরে ধীরে ঘুম এসে যাবে। অনেকে হেডফোনে গান শুনতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সফট মিউজিকের প্লে লিস্ট বানিয়ে রাখুন। রাতে শুয়ে ফোন ঘাঁটবেন না।
৫. অনেকের তাড়াতাড়ি শুয়েও ঘুম আসে না। এর নানা কারণ থাকতে পারে। তবে সুরাহা একটাই। রোজ এক্সারসাইজ করুন। এর ফলে আপনার স্ট্রেসও কমবে, রাতে ঘুমও তাড়াতাড়ি আসবে।
৬. সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তবে ঘুমের ১ ঘণ্টা আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। তাহলে মাঝরাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘুম ভাঙবে না।
৭. সন্ধ্যার পর কফি, চা, সিগারেট এড়িয়ে চলুন।
উপরের নিয়মগুলো ১ মাস মেনে দেখুন। এরপরে ক্লান্তি না কাটলে সেটা হেলাফেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।