শীতের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে দেখা দিতে শুরু করে নানান ধরণের ত্বকের সমস্যা। যার মাঝে সবচেয়ে বিরক্তিকর সমস্যাটি হলো খুশকির সমস্যা। সারা বছর জুড়ে খুশকির সমস্যা খুব একটা না থাকলেও, শীতকালীন সময়ে প্রকট আকার ধারণ করে সমস্যাটি।
ভীষণ বিব্রতকর এই সমস্যাটি থেকে পরিত্রাণের জন্য বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা হলেও, তাতে চুল পড়ার হার বেড়ে যায় অনেকটা। কারণ অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু খুবই স্ট্রং কেমিক্যালযুক্ত হয়। খুশকির সমস্যাকে বিদায় জানানোর জন্য ঘরোয়া কয়েকটি সহজলভ্য উপাদান ব্যবহার করাই যথেষ্ট। জেনে নিন এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপাদানের সহজ ব্যবহার।
সাধারণ শ্যাম্পুর সঙ্গে ৬-৮ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। টি ট্রি অয়েল মরা চামড়া দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরি। তবে টি ট্রি অয়েল সমৃদ্ধ কিছু বিশেষ শ্যাম্পু পাওয়া যায় যা খুশকি দূর করতে ও চুলের যত্নে দারুণ উপকারী। এমন শ্যাম্পু ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন ধরণের রান্নায় ব্যবহৃত বেকিং সোডার সঠিক ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে খুশকিমুক্ত পরিষ্কার মাথার ত্বক। বেকিং সোডা ব্যবহারের জন্য মাথার ত্বক ভালোভাবে ভিজিয়ে সরাসরি বেকিং সোডা দিয়ে ঘষতে হবে। এরপর শ্যাম্পু ছাড়া শুধু পানির সাহায্যে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে খুশকি দূর হবার পাশপাশি নতুন করে খুশকি তৈরি হওয়াও বন্ধ হবে। কারণ বেকিং সোডা হলো অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান।
এসিভির অ্যাসিডিটি মাথার ত্বকের পিএইচ (pH) এর মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে সহজে মাথার ত্বকে ইষ্ট বা ফাংগাস জন্মাতে পারে না। দুই চা চামচ এসিভির সঙ্গে এক কাপ পরিমাণ পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে স্প্রে করতে হবে। পুরো মাথায় স্প্রে করা হয়ে গেলে শুকনো তোয়ালের সাহায্যে মাথার চুল ঢেকে রাখতে হবে ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা পর্যন্ত। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে চুল ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে দুইবার এইভাবে এসিভি ব্যবহারে খুশকি পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।
শুধু মুখের বাজে গন্ধই নয়, খুশকি দূর করতেও মাউথওয়াশ দারুণ কার্যকর। মাউথওয়াশের অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান খুশকি তৈরিকারী ফাংগাস জন্মাতে বাধাদান করে। ফলে মাথার ত্বকে বাড়তি খুশকির উপদ্রব দূর হয় সহজেই।