পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকার উপরে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অনেকখানি নির্ভরশীল। যে কারণে সবসময় নিজের পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা ও স্বাভাবিক কার্যকারিতার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত খাদ্যাভাসের ফলে খুব সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে পরিপাকতন্ত্র। এছাড়া অনেকেই জানেন না, দুর্বল পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে ওবেসিটি, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস সহ ডিপ্রেশনের সমস্যাও দেখা দেয়। যে কারণে উপকারী ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।
কীভাবে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখবেন? জেনে নিন ভীষণ উপকারী ও প্রয়োজনীয় কয়েকটি উপায়।
পরিপাকতন্ত্রের সুস্থার জন্য অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ফাইবার তথা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়- উভয় ধরণের আঁশই পরিপাকতন্ত্র ও খাদ্য সঠিকভাবে পরিপাক হবার জন্য প্রয়োজনীয়। ফল, সবজী, শাক সহ বিভিন্ন ধরণের আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে। তবে রাতে আঁশযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
সহজ ভাষায় প্রোবায়োটিক হলো দই। দই থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যা পাকস্থলীর খারাপ ও ভালো ব্যাকটেরিয়ার সমতা বজায় রাখে। যে কারণে হুটহাট পেটের সমস্যা দেখা দেয় না।
ঘনঘন ও বারংবার খাবার খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে খাদ্য পরিপাক করার সময় পায় না। ফলে খুব দ্রুতই পেটের সমস্যা দেখা দেয়। অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দিতে হবে এবং অন্তত দুই ঘন্টা পরপর খাবার খেতে হবে। এতে খাবার ভালোভাবে পরিপাক হবার পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতেও পারবে।
প্রতিদিন ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ অথবা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যে হাঁটাও পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও কার্যকারিতা সচল রাখতে সাহায্য করে। দিনের শুরুতেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা অথবা পছন্দসই শরীরচর্চা সারাদিনের জন্য শরীর ও মনকে ভালো রাখবে।