হার্টের অসুখ এমনই একটি বিষয় যে বাইরে থেকে আগেভাগে বোঝা যায় না। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে মাত্র পাঁচটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
জেনে নিন সেই সমস্ত খাদ্য তালিকা যা সুস্বাস্থ্যের যাত্রা শুরু করতে সহায়তা করবে-
ছোলা
ছোলা কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্ণ। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাসিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
কফি
এই তিক্ত পানীয়টি আমাদের হার্টের জন্য অতন্ত্য উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ডুমুর
ডুমুর হার্ট সুরক্ষিত করার জন্য পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। এই ফলটি ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারযুক্ত যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
ফ্ল্যাক্স বীজ
যারা মাছ বা বাদাম খাওয়া পছন্দ করেন না তবে এখনও ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন তাদের ফ্ল্যাক্স বীজ খাওয়া উচিত। এই বীজগুলো সাধারণত টপিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইস্ট্রোজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা হার্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
লাল মরিচ
লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
আদা
গন্ধযুক্ত এই মশলাটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
জাম্বুরা
জাম্বুরা কোলিন, ফাইবার, লাইকোপিন এবং পটাসিয়ামযুক্ত। এই সমস্ত উপাদানগুলো হার্ট ভালো রাখার দুর্দান্ত উপায়। উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করার জন্য এটি অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান।
গ্রীন টি
গ্রিন টি একটি সতেজ পানীয় হিসাবে পরিচিত। গ্রীন টি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী ফলক তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন টি এলএল, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।
কিডনি বিনস
কিডনি বিন ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনযুক্ত। কিডনি বিনে ফ্যাটও কম তবে ফাইবার বেশি। কিডনি বিন, মটরশুটি হোমোস্টিনের স্তর হ্রাস করতে এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।