যার ফলে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় কমে যায় অনেকটা। সুস্থ থাকার জন্য তো বটেই, ওজন কমানোর জন্য ও ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যেও প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা করা। ওয়ান মেডিকেলের আন্তর্জাতিক মেডিসিন ফিজিশিয়ান ব্রায়ান সিসিমস্কি, এমডি জানান, শরীরচর্চা করা সুস্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওজন কমানোর জন্য এটাই একমাত্র পন্থা নয়। সঠিক নিয়ম ও জীবনব্যবস্থা বাড়তি ওজনকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
জেনে নিন কোন নিয়মগুলো মেনে চললে শরীরচর্চা না করেও ওজনকে কমিয়ে আনা সম্ভব।
ব্রায়ান জানান, শরীরচর্চার মাধ্যমে ক্যালোরি বার্ণ করা খুবই কার্যকরি উপায়। তবে এর চাইতেও বেশি কার্যকর হলো পরিমিত ক্যালোরী গ্রহণ করা। প্রতি বেলায় একদম মেপে মেপে ক্যালোরি গ্রহণ করার ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি জমে না। প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি স্বাভাবিক কার্যকলাপেই বার্ণ হয়ে যায়।
ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা খাবার ও চিনিযুক্ত খাবার কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ওজন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। চেষ্টা করতে হবে ধীরে ধীরে এমন সকল খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়ার জন্য।
দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং অফিসের জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার ফলে পরিপূর্ণ ঘুম হয় না কখনোই। হিসেব করলে দেখা যাবে ৬ ঘন্টাও ঘুম হয় না ঠিকভাবে। অথচ প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন শরীরের। ঘুম কম হলে শুধু যে ক্লান্তি বোধ হয় তা নয়, শরীরে ঘ্রিলিন (Ghrelin) হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং লেপটিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়। যাত ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে।
অকারণে ও অসময়ে ক্ষুধাভাব দেখা দেয়? সমাধান এক গ্লাস পানি পান করে ফেলুন। এছাড়া খেয়াল করে দেখুন প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা হচ্ছে কিনা। কারণ পানি পান করা না হলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। যা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে স্বাস্থ্যের উপর। যদি পান পান করতে বিরক্তি ও একঘেয়েমি লাগে তবে গ্রিন টি, লেবুপানি অথবা ডাবের পানিও পান করতে পারেন।
অনেকেই খাবার খাওয়ার সময় অন্যমনস্ক থাকে। টিভি, বই কিংবা মোবাইলের দিকে মনোযোগটা বেশি থাকে। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এতে করে খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায়। যে কারণে খাবার খাওয়ার সময় খাওয়ার দিকেই পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।