নেইলপলিশ ব্যবহারের ধরণ যেমন পাল্টেছে, তেমনভাবেই পাল্টেছে নেইলপলিশ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করার আইডিয়া।
কখনো ম্যাট আবার কখনো গ্লসি নেইলপলিশের চল আসে। তবে নেইলপলিশ ব্যবহারের কখনোই ভাটা দেখা দেয়নি। ঠিক তেমনভাবেই, এক সময়ে উজ্জ্বল লাল কিংবা নীল রঙে নখ রাঙাতে পছন্দ করলেও, পরবর্তি সময়ে দেখা দেয় কালো ও সাদা রঙের নেইলপলিশ ব্যবহারের প্রচলন।
একইভাবে নেইলপলিশ ও নেইল আর্টের প্যাটার্নে নানান মোড়, নানান ডিজাইন তাকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে তেমনইভাবে জনপ্রিয়ও করে তুলেছে। বিভিন্ন ধরণের নেইল আর্টের মাঝে এযাবতকালে জনপ্রিয় হওয়া বেশ কিছু সহজ ও আকর্ষণীয় নেইল আর্ট নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের ফিচারটি।
নেইলপলিশ দেওয়ার এই ধরণগুলো ও নেইল আর্টগুলো চাইলেই প্রয়োগ করা যাবে নিজের নখে। দেখে নিন তেমন কয়েকটি ডিজাইন।
কালো ও সোনালির মিশেলের চাইতে গর্জাস কোন কম্বিনেশন হতেই পারে না। যেকোন পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে এবং খুব সহজেই নেইলপলিশ দেওয়া যাবে এইভাবে।
অম্ব্রে কালারে নেইলপলিশ জনপ্রিয় বহু আগে থেকেই। নখের নিচের দিকে তুলনামূলক গাড় রং দিয়ে উপরের দিকে তুলনামূলক হালকা কালার মিশিয়ে এরপর ওয়াটার কালারের বেস দিয়ে শেষ করতে হবে নেইলপলিশ দেওয়া।
হাতের পাঁচটি নখের ভেতর তিনটি কিংবা দুইটি নখে গাড় এক রঙের নেইলপলিশ দিয়ে অন্যান্য নখে নেইল আর্ট করে ওয়াটার কালার বেইস লাগাতে হবে। নেইল আর্ট করতে না পারলে, নেইল স্টিকার ব্যবহার করেও এই ডিজাইন আনা যাবে।
এই ডিজাইনটা মূলত নেইল স্টিকারের মাধ্যমে করতে হবে। পছন্দসই নেইলপলিশের উপরে বিভিন্ন প্যাটার্নের ডিজাইন নিজেও করে নেওয়া যাবে।
এই ধরণের দিজাইনগুলো অনেকটাই জিওমেট্রিক ঘরানার। তবে পার্থক্য হলো, এই ডিজাইনের রেখাগুলো বেশ স্পষ্ট থাকে ও একে অপরের থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়।
ছবি ও নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিশ্চয় এমন ধরণের নেইলপলিশ আর্টগুলো কেমন হয়! মূলত ওয়াটার কালার বেইসের উপর মন মতো রঙের নেইলপলিশের কয়েকটা টানেই এনে দিতে পারবে পারফেক্ট এই নেইল আর্ট।