ঘুম না হলে অনেকেই ঘুমের ওষুধ খাওয়ার সহজতম রাস্তাটি বেছে নেন। ঘুমের ওষুধ খেলে সহজেই ঘুম আসে। কিন্তু প্রথম প্রথম যে ওষুধ সহজে ঘুম পাড়িয়ে দেয়, কয়েক বছর পরে সেটিই আর ভাল ভাবে কাজ করে না। তখন আরও চড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধের দরকার হয়।
রোজ এ ভাবে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে কী হয়?
১. রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে ফুসফুসের ক্ষমতা কমতে থাকে। অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা বেশি হাঁটাহাঁটি করতে গেলেই সমস্যা হয়। সব মিলিয়ে কমতে থাকে ফুসফুসের ক্ষমতা।
২. সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, রোজ ঘুমের ওষুধ খেলে আয়ু কমতে পারে। কারণ সার্বিক ভাবে গোটা শরীরের উপরেই এই ওষুধের প্রভাব পড়ে। তাতে সব অঙ্গেরই অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়। ফলে আয়ু কমতে থাকে।
৩. নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে অবসাদের সমস্যাও বাড়তে পারে। যাদের ইতিমধ্যেই এই সমস্যা রয়েছে, তারা যদি রোজ ঘুমের ওষুধ খান, তা হলে সেই সব হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যেগুলি অবসাদের জন্য দায়ী।
৪. এমনটিও দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান, তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে এই ওষুধের প্রভাব পড়ে। ফলে আচরণ বদলে যেতে পারে। এমনকি কমে যেতে পারে বুদ্ধিও।
৫. নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। তা ছাড়া মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার হরমোনগুলির ক্ষরণও বাড়ে। তাতে ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।