আধুনিক সময়ে ঘি খাওয়ার প্রচলন একেবারেই উঠে গেছে।
অথচ বিভিন্ন ধরণের তেল ও মাখনের চাইতে হাজার গুণ বেশি উপকারিতা রয়েছে দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান ঘিতে। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, বিশুদ্ধ ঘিতে রয়েছে নানান ধরণের মেডিসিনাল ও পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান।
তেলের চাইতে ঘিয়ের বাজার মূল্য বেশি হলেও, বিশুদ্ধ ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও হৃদযন্ত্রের জন্য নিরাপদ। তেলের পরিবর্তে ঘি খাওয়ার কয়েকটি কারণ জেনে নিন।
ঘি তে নেই ল্যাকটোজ
অনেকেই দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সহ্য করতে পারেন না ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্সির জন্য। যাদের এই সমস্যাটি রয়েছে, তারা দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার একেবারেই হজম করতে পারেন না। এমন সমস্যা আপনার থাকলেও, নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন ঘি। ঘি দুধ থেকে তৈরি হলেও ঘি তৈরির প্রক্রিয়ায়, ঘি থেকে ল্যাকটোজ বাদ দেওয়া হয় এবং দুধের বিশুদ্ধ মাখনের তেল থেকে ঘি তৈরি করা হয়। ফলে ঘি হজমে কোন সমস্যা হয় না একেবারেই।
ঘি সম্পূর্ণ কেসিনমুক্ত উপাদান
দুধে থাকা কেসিন হলো একপ্রকার প্রোটিন উপাদান, যা মিল্ক অ্যালার্জি তৈরি করে। যখন দুধ থকে ঘি তৈরি করা হয়, দুধে থাকা সলিড উপাদানগুলো তরলের উপরে ভাসতে থাকে। ফলে তা সহজেই আলাদা করে নেওয়া যায়। একদম বিশুদ্ধ ঘিতে কখনোই ল্যাকটোজ ও কেসিন থাকে না। কারণ, ঘি তৈরির সঠিক উপায়ে এই দুইটি উপাদান বাদ পরে যায়।
রান্নার জন্য সঠিক
সানফ্লাওয়ার কিংবা অন্যান্য তেল হলো পলিআনস্যাচুরেটেড তেল। উচ্চতাপে রান্না কিংবা বেকিং এর জন্য এই তেলগুলো ব্যবহার করা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। অন্যদিকে ঘি হলো একেবারে প্রাথমিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা বেকিং বা ভাজাপোড়ার জন্য পারফেক্ট।
স্যাচুরেটেড ফ্যাটের অন্যরূপ হলো ঘি
বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করে যে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। যে কারণে উচ্চরক্ত চাপ ও অন্যান্য হৃদরোগেও ঘি খাওয়া যাবে এবং ঘি ব্যবহারে রান্না করা যাবে। নিশ্চিন্তে ঘি খাওয়া যাবে তবে খুব বেশি নয় অবশ্যই।
ভিটামিন-এ পাওয়া যাবে ঘি থেকে
গরু কিংবা ভেড়ার দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য থেকে ফ্যাট-স্ল্যুবল ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। এই ধরণের ভিটামিন দুধের ফ্যাটে জমা থাকে, আর ঘি হলো তরল দুধের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ফ্যাট। এই ভিটামিন-এ হরমোনের ব্যালেন্স, ফার্টিলিটি, লিভারের স্বাস্থ্য ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।