ত্বকে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সবসময়ই উৎকৃষ্ট। সে প্রাকৃতিক উপাদানটি যদি হয় টমেটো, তবে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে ত্বকের যত্নে। এতে থাকা ভিটামিন-সি শুধু ত্বকের সমস্যা দূর করতেই নয়, ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও কাজ করবে।
আজকে দেখে নিন ত্বকের যত্নে টমেটো রসের তিন সহজ ব্যবহার-
ব্রণ দূর করতে
ব্রণের সমস্যা দূর করতে টমেটোর রসের সাথে ব্যবহার করতে হবে শসার রস। শসাতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ব্রণ ও ত্বকের র্যাশ কমাতে কাজ করে। ত্বকে ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ টমেটোর রস ও এক টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অনেকেই নানা ধরণের ক্রিম ও ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু সবচেয়ে উত্তম হবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করা।
সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে টমেটোর রস ও লেবুর রস। এক টেবিল চামচ টমেটোর রসের সাথে ৪-৫ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, লেবুর রস খুব বেশি মেশানো যাবে না। তৈরিকৃত এই মিশ্রণ ত্বকে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। খুব বেশি সময় এই মিশ্রণ ত্বকে না রাখাই ভালো। টমেটো ও লেবু, উভয় উপাদান অ্যাসিডিক। এছাড়া যাদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাদের এই মিশ্রণ ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে
টমেটোতে রয়েছে ব্লিচিং উপাদান। যা ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষত ওটসের সাথে মিশিয়ে নেওয়ার ফলে, টমেটোর রস ত্বকের ভেতর থেকে মরা চামড়া ও ময়লা বের করতে ভালো কাজ করে।
পিগমেন্টেশন দূর করতে এক টেবিল চামচ টমেটোর রসের সাথে এক চা চামচ ওটসের গুঁড়া ও আধা চা চামচ দই মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।