বিশেষ করে ছুটির দিন যখন আসন্ন, তখন এমন পরিকল্পন না থাকলেও অফিসেই হয়তো সকল সহকর্মীদের সঙ্গে জম্পেশ ডিনার হয়।
বাইরের খাবার মানেই বাড়তি লবণ গ্রহণ, বাড়তি লবণ মানেই বাড়তি সোডিয়াম। শরীরে বাড়তি সোডিয়াম নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৩.০০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ সোডিয়াম প্রয়োজন হয়। সেখানে এক পিস হট চিকেনেই ২.৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোডিয়াম থাকে। বাইরে খাওয়ার সময় কেউ নিশ্চয় শুধু এক পিস চিকেন খেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন না। সঙ্গে থাকে ফ্রেন্স ফ্রাই, বার্গার, পাস্তা, পিৎজা কিংবা ফ্রাইড রাইস। এখন নিজেই একবার হিসেব করে দেখুন, এক বেলায় বাইরের ফাস্ট ফুড খাওয়া হলে কতটা বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা হয়!
নিয়ম নেমে খাওয়াদাওয়া করলেও, মাঝে মাঝে নিয়মের মাঝে থাকা ও খাওয়াদাওয়া করা সম্ভব হয় না। হুট করে বাইরে খাওয়া হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়ামের প্রভাব দূর করতে তিনটি নিয়ম মানতে হবে।
ফাস্ট ফুড খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি করতে হবে। যেন শরীর ও কিডনি থেকে বাড়তি সোডিয়াম সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যেতে পারে। নইলে মুখ, হাত-পায়ে পানি এসে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে লবণ তথা সোডিয়াম বের হয়ে যায়। তাই বাইরের লোভনীয় খাবার খেয়ে আসার কিছুক্ষণ পড়েই ট্রেডমিলে উঠে পড়ুন। ট্রেডমিল না থাকলেও সমস্যা নেই। ফ্রি-হ্যান্ড এক্সসারসাইজ শুরু করুন। মোটকথা শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর মতো কোন শরীরচর্চা বা কাজ করুন। এতে করে ঘামের সঙ্গে বাড়তি সোডিয়াম বেরিয়ে যাবে।
কলাতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের বাড়তি সোডিয়ামের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করবে। কলার পাশাপাশি সবুজ শাক, বাদাম অথবা আলু খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। এই সকল উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা স্থিতিশীল করতে কাজ করে।