যা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। স্পষ্টভাষী কিংবা বন্ধুসুলভ- যেমন মানুষই হন না কেন, কাজের পরিবেশে হাজারো মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মেশার ফলে চিড় দেখা দিতে থাকে নিজের আত্মবিশ্বাসের প্রাচীরে।
সহকর্মীকে সঠিক কথাটা বলা উচিৎ হবে কিনা, বসকে তার ভুল ধরিয়ে দেওয়া যাবে কিনা, মিটিং এ নিজের আইডিয়া শেয়ার করা যাবে কিনা- এমন হাজারো প্রশ্নের মুখে নিজেকে দাঁড় করাতে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়া নিজের কাজের পরিধির ভেতরেও কিছু ঘটনা নিজেকে দোদুল্যমান পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। এমতবস্থায় আত্মবিশ্বাসকে কীভাবে ধরে রাখবেন বলে ভাবছেন? আপনার জন্য তুলে ধরা হলো কয়েকটি পরামর্শ।
নিজের ভেতরের নেতিবাচকতা দূর করতে হবে সবার প্রথমে। মাথার ভেতর যদি অনবরত নেতিবাচক চিন্তা ঘুরপাক খায়, তবে নিজেকে কোনভাবেই সঠিক স্থানে দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। ‘নেগেটিভ সেলফ টক’ হলো নিজের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করার সবার প্রথম হাতিয়ার।
কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ভুল যে কারোরই হতে পারে। তাই কেউ যখন আপনার কাজ ভুল ধরিয়ে দিবে কিংবা আপনার কাজের সমালোচনা করবে, তখন সেটাতে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন। সহকর্মী কাজের সমালোচনা করছে বলে এটা ভাববেন না যে, তিনি আপনার কাজ অপছন্দ করছে। বরং ভাবুন তিনি আপনার কাজের প্রতি খেয়াল রাখছেন, কাজটি আরো কীভাবে ভালো করা যায় সেটার প্রতি আপনাকে সতর্ক হতে বলছেন।
প্রতিদিন আপনাকে অফিসে কী কাজ করতে হয়? গৎবাঁধা মেইল চেইক করা, টেলিফোন অপারেট করা, হিসেব-নিকেশ দেখা ইত্যাদি। কাজ ছোট বড় যেমনটাই হোক না কেন, কোন একটা কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার পর নিজেকে নিজেই অভিবাদন জানান। চমৎকার এক কাপ চা পান করুন কিংবা নিজেকে একটি লজেন্স উপহার দিন। আপাতদৃষ্টিতে একেবারেই ছোট কাজ মনে হলেও, আদতে কোন কোন কাজই ছোট নয়।
সবচেয়ে বেশি সন্দেহ ও উদ্বেগ নিজেকে ঘিরে থাকার বিষয়টি একেবারেই সাধারণ। তবে সমস্যা দেখা দেয়, নিজের এই সকল আশঙ্কাকে নিজের মাঝেই রেখে দিলে। এতে করে নিজের প্রতি সন্দেহ ও উদ্বেগ উভয়ই বৃদ্ধি পায়। তাই নিজের সমস্যা নিয়ে কাছের কোন বন্ধু কিংবা পরিবারের কারোর সঙ্গে কথা বলুন, আলোচনা করুন। এতে অহেতুক উদ্বেগ দূর হবে এবং মন ফুরফুরে থাকবে।