আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশ মেয়ে পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগেন। দিন দিন এই সংখ্যাটা বাড়তেই আছে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে এদের অনেকেই ক্রনিক অ্যানিমিয়া-সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
তবে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উন্নত হওয়ায় এবং সচেতনতা বাড়ায় আগের থেকে অনেক বেশি রোগ ধরা পড়ছে। তবে এসমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন, সদ্য কিশোরী এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সি মহিলারা।
কারণ, কিশোরী বয়স পিরিয়ড শুরুর সময় এবং ৪০ বছর বয়সের পর মেনোপজের আগে শরীরে সাময়িক ভাবে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য হয়। এর ফলেই অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের সমস্যা বাড়ে।
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণ
১. জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা টিউমার।
২. ওভারিতে কোনও সমস্যা থাকলে ঠিক মতো ডিম্বাণু নিঃসরণ হয় না। তাতে প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদন কমে গিয়ে এই সমস্যা দেখা দেয়।
৩. জরায়ু লাইনিং এ বিনাইন (অর্থাৎ ক্যানসার নয় এমন) পলিপ হলে।
৪. জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের সমস্যা।
৫. জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস ব্যবহার করলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়।
৬. সারভিক্সে সংক্রমণ।
৭. গর্ভপাত।
৮. ইউটেরাস ও সারভিক্সের ক্যানসার হলেও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়।
৯. রক্তের কিছু বিরল অসুখে অনেক সময় হেভি ব্লিডিং হয়।
১০. হরমোন ওষুধ, রক্ত পাতলা করার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রয়ায় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের ঝুঁকি থাকে।
১১. লিভার ও কিডনির অসুখ থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।
তাই পিরিয়ড নিয়ে অবহেলা না করে সমস্যা দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।