আমাদের শরীরের সুস্থ্যতা রক্ষায় প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের পুস্টিকর খাবার। খাবারের মূল উপাদান মূলত ৬টি। খাদ্যের ৬টি উপাদান হল-শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি। সকল খাদ্য উপাদানের চাহিদা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের ভেতর থেকেই অর্জন করা সম্ভব। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো ভিটামিন ডি-এর উৎস ও উপকারিতার কথা।
ভিটামিন ডি-এর অভাবে বিভিন্ন বয়সের মানুষের শরীরে নানা ধরণের রোগ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় হাড়ের ক্ষয় রোগ। বিশেষ করে মহিলাদের ৩০বছরের পর থেকেই হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়।
কখন বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি?
রক্তের সিরামে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ২৫-হাইড্রোক্সি-ভিটামিন ডি (ক্যালসিডিওল) আকারে পরিমাপ করা হয় যা এটি স্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশ করে। ২৫ এনএমএল / এল-এর নীচে থাকলে একটি ঘাটতি ধরা হয় এবং ২৫-৫০ এনএমএল / এল-এর মধ্যে থাকলে তা অপ্রতুলতা বলে ধরা হয়। যখন স্তরটি ৫০ এনএমল / এল-এর উপরে থাকে, তখন হাড়, পেশী, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ইনসুলিনের ক্ষরণে উপকারের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি’র উৎস
ভিটামিন ডি-এর প্রধান প্রাকৃতিক উৎস হলো সূর্যের আলো। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বকের এপিডার্মিসের নীচের স্তরে কলিক্যালসিফেরলের সংশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ( অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরণ)।
ভিটামিন ডি এর অভাবে যে সব সমস্যা দেখা যায়ঃ
হাড্ডি ক্ষয়,খিচুনি, টেটনি,অলসতা, বাচ্চাদের রিকেটস, কার্ডিওমায়োপ্যাথি, হাড়ের অস্বাভাবিক প্রোফাইল, ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি এর পাওয়া যায় এমন কিছু খাবার হলঃ
ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উৎস হচ্ছে তৈলাক্ত বা চর্বি যুক্ত বিভিন্ন মাছ। পুনা মাছ, শ্যামন মাছ, পাঙ্গাস মাছ প্রভৃতি। মাশরুম, দুধ, কর্ডলিভার ওয়েল, চিজ, কমলা লেবু, ওটস ও বাদামীচাল, ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা, দই, গম, রাগী, বার্লী,পনির ইত্যাদি।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের পর সকালের রোদ কিছু সময় এর জন্য গায়ে লাগানো খুবই ভালো। বয়স্কদের, বা যাদের হাড়ের দুর্বলতা দেখা যায় তাদের ভিটামিন ডি ক্যাপ্সুল গ্রহণ করা উচিৎ। এছাড়া ভিটামিন ডি বহুল খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।