সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত শীতকালে খেজুরের উপকারীতার শেষ নেই। রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন খেজুর। এই ফলটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, আবার এতে রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ।
খেজুরের যাবতীয় পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক—
১. খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখলে সারাদিন বেশ প্রাণবন্ত থাকা যায়।
২. খেজুরে কোনও ফ্যাট নেই। নেই কোনও কোলেস্টেরলও। খেজুরে থাকা ‘ক্যাটাচিনস’ নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তা ছাড়া, খেজুর ধমনীতে চর্বির স্তর জমতে দেয় না।
৩. রক্তস্বল্পতায় ভুগলে অবসাদ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রেও খেজুর ভীষণ উপকারী। খেজুর আয়রনের ভাল উৎস।
৪. হৃদ্রোগ, ক্যানসার কিংবা ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও খেজুর খুব উপরারী। খেজুরে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস যা ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ভাষণ উপকারী। এ ছাড়াও খেজুরে আছে আইসোফ্ল্যাভন ও ক্যারোটেনয়েডস নামক দু’টি উপাদান, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী। খেজুরে থাকে ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫. খেজুরে বেশ ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা য়ায়, খেজুর হল এমন এক প্রাকৃতিক প্রতিষেধক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এ সব হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশ উপকারী।
৭. খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ‘ক্যারোটানয়েডস’, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এমনকি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পেশীর সঙ্কোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাও খেজুর প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৮. সাধারণত খাদ্যে ফাইবার অভাবে পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ হয়। খেজুরে যেহেতু প্রচুর ফাইবার থাকে, তাই নিয়মিত খেজুর খেলে এ রোগগুলি থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।