প্রতিদিন এসিভি পানের বিভিন্ন চমকপ্রদ উপকারিতার জন্যেই ভীষণ জনপ্রিয় এই উপাদানটি। এসিভির গন্ধ ও স্বাদ কটু হওয়া স্বত্বেও, এই পানীয়টি পান করেন স্বাস্থ্য সচেতনেরা।
আপনিও যদি সদ্য এসিভি পান করা শুরু করে থাকেন, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা জরুরি। জানুন এসিভি পানের ক্ষেত্রে কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
তীব্র অ্যাসিডিক তরল পদার্থ হলো এসিভি। এর গুণাগুণের মতোই অ্যাসিডিক উপাদান প্রবলভাবে উপস্থিত থাকে এসিভিতে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এসিভি পান না করলে দাঁত তো বটেই, গলা ও পরিপাকতন্ত্রও পুড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই পানির সঙ্গে এসিভি ভালোভাবে মিশিয় এসিভি পান করতে হবে। এক গ্লাস পানিতে নিতে হবে এক চা চামচ এসিভি।
সাধারণত খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে এসিভি পান করেন সকলে। কিন্তু সঠিক নিয়মটি একেবারেই উল্টো। খাবারা খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পূর্বে এসিভি পান করে হবে। এতে করে এসিভি ভালোভাবে পরিপাক হয় এবং এসিভির গুণাগুণ শরীরে সম্পূর্ণভাবে শোষিত হয়।
পরিপাকতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের জন্য এসিভি উপকারী হলেও, ফুসফুসের জন্য এসিভি খুবই ক্ষতিকর। এসিভির তীব্র কটু গন্ধ ফুসফুসে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি তৈরি করে। যা ফুসফুসে ক্ষতিরক প্রভাব ফেলে দেয়। যে কারণে এসিভি পানের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যেন এসিভির গন্ধ নাকে প্রবেশ করতে না পারে।
পানির সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়ার পরেও এসিভির প্রবল অ্যাসিডিক উপাদান অক্ষত অবস্থায় থাকে। চুমুক দিয়ে এসিভি পান করার ফলে দাঁতের সরাসরি সংস্পর্শে আসে এসিভি। যা দাঁতে এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এসিভি পানের সবচেয়ে সঠিক উপায় হলো স্ট্রর সাহায্যে পান করা।
যেহেতু এসিভি পানের উপকারিতা অনেক বেশি, এসিভি পান করার শুরু থেকেই অনেক বেশি পরিমাণে পান করেন অনেকেই। যা একেবারেই অনুচিত। এসিভিতে অভ্যাস্ত হতে শরীরের বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রথম থেকেই একবারে অনেক বেশি এসিভি পানের ফলে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দিতে পারে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে।
আরো পড়ুন: এসিভি ও আপেল জ্যুসের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
আরো পড়ুন: সুস্থ পরিপাকতন্ত্রে সুস্থ আপনি