সেই সঙ্গে বাড়ছে সিনেমা হলের ভিড়। সকলেই চায় নিজের পছন্দসই সিনেমাটি বড় পর্দায় উপভোগ করতে। খেয়াল করে দেখবেন, প্রায়শ সিনেমা হলে নানান ধরণের বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনিচ্ছা স্বত্বেও। এমনকি আপনি নিজেও হয়তো অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান ক্ষেত্র বিশেষে।
একটি সম্পূর্ণ সিনেমা দেখার জন্য দুই-তিন ঘন্টা সময় কাটাতে হয় সিনেমা হলে। এই সময়টুকুর মাঝে কিছু আদব-কায়দা মনে রাখা প্রয়োজন সকলের।
হাতে যত কাজ ও রাস্তায় যত জ্যামই থাকুক না কেন, সিনেমা হলে নির্ধারিত সময়ের আগে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সিনেমা শুরু হবার মিনিট বিশেক পর উপস্থিত হলে, হলের বাকি দর্শকদের কাছে বিরক্তির কারণ হতে হবে নিশ্চিতভাবে। খুব মনোযোগ ও আনন্দ নিয়ে সিনেমা দেখার সময় আপনার চোখের সামনে দিয়ে যদি যাতায়াত করে তবে নিশ্চয় আপনি নিজেও বিরক্ত হবেন।
সম্পূর্ণ অন্ধকার হলের মাঝে হুট করেই যদি কারোর মোবাইলের আলো জ্বলে তবে বিরক্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অনেকেই সিনেমা চলাকালীন সময়ে অকারণে ও অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। যা তার আশেপাশে বসা অন্যান্য দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খুব বেশি প্রয়োজন হলে, অন্যান্যদের ‘এক্সকিউজ মি’ বলে হলের বাইরে গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। হলে বসে অহেতুক মোবাইল সার্ফ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সিনেমা হলে উপস্থিত সকলেই তাদের কাঙ্ক্ষিত সিনেমা উপভোগ করতে গিয়েছেন। এর মাঝে আপনি যদি উচ্চস্বরে মোবাইল ফোনে কিংবা হলে উপস্থিত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন, সেটা অবশ্যই বিরক্তির উদ্রেক ঘটাবে।
ছোট শিশুদের ভালোবাসে সবাই। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ বয়সী থেকে তিন-চার বছর বয়সী শিশুদের সিনেমা হলে নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রথমত শিশুরা হলের অন্ধকার পরিবেশে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করবে। যা অন্যদের মাঝে প্রচন্ড বিরক্তি সৃষ্টি করবে। আপনি নিজে তো বটেই হলের অন্য দর্শকরাও ভালোভাবে মুভি উপভোগ করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত সিনেমা হলের প্রচন্ড শব্দ শিশুদের কানের জন্য ক্ষতিকর। কোনভাবেই এতো বিকট শব্দযুক্ত স্থানে শিশুদের রাখা উচিৎ হবে না।
পপকর্ণ ও কোক ছাড়া সিনেমা দেখা যায় নাকি! এছাড়াও সিনেমা হলের ফুড কোর্টে পাওয়া যায় হরেক খাবার। সিনেমা দেখার সময় মজা করে খাবার খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, হলে সিনেমা দেখার চাইতে খাওয়া-দাওয়া করাটা যেন মুখ্য বিষয় হয়ে না দাঁড়ায়।
সিনেমা দেখে যারপরনাই আনন্দিত আপনি। সিনেমা দেখে বের হয়েই বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন। আপনার কথা শুনে লবিতে অপেক্ষারত দর্শকরা সিনেমার কাহিনীর মূল আকর্ষণ সম্পর্কে যদি আগে থেকেই জেনে যায়, তবে পুরো সিনেমা দেখার আনন্দই নষ্ট হয়ে যাবে। ভাবুন তো একবার, এমনটা যদি আপনার সঙ্গে হয়, আপনি নিজেও বিষয়টা ভালোভাবে নিবেন না।
আরও পড়ুন: ১২ কারণে গড়ে তুলুন বই পড়ার অভ্যাস
আরও পড়ুন: ফেসবুক ব্যবহার করুন স্মার্টলি!