ত্বকের উজ্জ্বলতায় ফেস ইয়োগা মানবশরীরের সবচেয়ে সূক্ষ্ম ও স্পর্শকাতর হলো ত্বক। যা সহজেই ক্ষত বা দাগযুক্ত হতে পারে। ত্বককে হাইড্রেটেড এবং পুষ্ট রাখা জরুরি। মানুষের মুখে ৪২টি পৃথক পেশী রয়েছে। এসব পেশীর যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে মুখের যোগব্যায়াম।
যোগব্যায়াম মুখের পেশীকে শক্তিশালী, বার্ধক্য এবং বলিরেখা দূর করতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে। এছাড়া মুখ এবং ঘাড় থেকে ক্লান্তি দূর করে চেহারায় প্রাকৃতিক আভা এনে দেয়। আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে, ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য ফ্যাসিয়াল যোগ অভ্যাসের কিছু জাদুকরি কৌশল জেনে নিন—
ফেসিয়াল যোগের উপকারিতা
মুখের যোগব্যায়াম প্রাকৃতিকভাবে মুখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে। মুখ বলিরেখা মুক্ত ও সতেজ রাখতে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেকআপ পণ্য বা ব্যয়বহুল বোটক্স ট্রিটমেন্ট লাগবে না। ফ্যাসিয়াল ম্যাসাজগুলোর অনেক সুবিধা রয়েছে, যা আপনার মুখকে বয়সের চেয়ে তরুণ দেখাবে।
ফেস ইয়োগার উপকারিতা—
১. ত্বকের সূক্ষ্ম লাইন মসৃণ করে
২. চোখের চারপাশে ত্বক উত্তোলন
৩. গাল টোনিং করে
৪. ঘাড় শক্ত করে
৫. মুখ চাঙ্গা এবং স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখে
৬. ত্বকে অক্সিজেনেশনের উন্নতি করে
৭. ত্বক থেকে টক্সিন অপসারণ করে
৮. মুখে প্রাকৃতিক ব্লাশ নিয়ে আসে
ফেস ইয়োগা ম্যাসাজ কীভাবে করবেন?
গোলাপী গাল
গালকে গোলাপী করতে সহায়তা করে এই যোগব্যায়াম। এটি গালে পপ আপ করতেও সহায়তা করে। আপনাকে যা করতে হবে- তা হলো এক মিনিটের জন্য বার বার আপনার গালে আলতো চিমটি দিতে হবে।
সিংহী মুখ
এটি একটি সম্পূর্ণ মুখের অনুশীলন ম্যাসাজ। যা পুরো মুখজুড়ে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এর জন্য নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস ফেলা এবং সেই সাথে মুখ হা করে শ্বাস বের হতে দেয়ার ব্যায়াম।
রোলার
মুখের ম্যাসাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের রোলার ব্যবহার করা হয় যেমন- স্ফটিক, স্টেইনলেস স্টিল। এগুলো অস্থায়ীভাবে ত্বককে শক্ত করে তোলে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। এটি আস্তে আস্তে ঘাড় থেকে জাবলাইন, গাল বোনস, ভ্রু, নাকের ব্রিজ এবং কপাল পর্যন্ত উর্ধ্বমুখীভাবে শুরু করুন। পুরো ম্যাসাজ চাপ প্রয়োগ করে করুন এবং এক মিনিটের জন্য এটি অনুশীলন করুন।
ক্রিও ফেসিয়াল
এটি এমন একটি ফ্যাসিয়াল, যা রক্তের প্রবাহকে অক্সিজেনিয়েট করে। মুখের পেশীগুলো মেরামত করে, প্রদাহ হ্রাস করে, এবং এটপিক ডার্মাটাইটিস উন্নত করে ত্বককে কোমল এবং স্বাস্থ্যকর দেখাতে সহায়তা করে। এর জন্য বরফের একটি টুকরো নিয়ে ১০ মিনিট ধরে কপাল কেন্দ্রস্থল করে নীচের চোখের দিকে ঘষে ম্যাসাজ করুন। এটি মুখের আর্দ্রতা দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে।