আবহাওয়ার দরুন ত্বকের আর্দ্রতা কমে গেলে শুষ্ক ত্বকে ইরিটেশন ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায় অনেকটা। ত্বকের আরামে ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রয়োজন হবে ময়েশ্চারাইজারের। নিশ্চয় সবসময় দোকান থেকে কেনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয়। এই শীতে না হয় ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার।
ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজারের কথায় ভড়কে যাওয়ার কিছু নেই। খুব সহজে ও অল্প সময়ের মাঝেই এই ময়েশ্চারাইজার তৈরি করা যাবে। আপনার রান্নাঘরে থাকা কয়েকটি সহজলভ্য উপাদানের ব্যবহারে সবচেয়ে উপকারী ও চমৎকার বডি বাটার ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে নেওয়া যাবে সহজেই।
১. ২ টেবিল চামচ মধু।
২. ১ টেবিল চামচ মাখন।
৩. ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল।
৪. দেড় টেবিল চামচ মোম।
৫. ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল।
১. একটি পাত্র মাঝারি আঁচে গরম করে তাতে মধু দিয়ে দিতে হবে।, চুলার আঁচ কমিয়ে এতে বাকি উপাদানগুলো একে একে দিয়ে দিতে হবে। তবে একবারে সকল উপাদান দেওয়া যাবে না। মাখন দিয়ে নেড়েচেড়ে গলিয়ে এরপর মোম দিতে হবে এবং উপাদানগুলো নাড়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে কাঠের চামচ।
২. এভাবে সবশেষে যোগ করতে হবে আমন্ড অয়েল। আমন্ড অয়েল দেওয়ার পর নেড়েচেড়ে সকল উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে।
৩. মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে জমে যাওয়ার পর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে হুইস্ক করতে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত মিশ্রণটি ফ্লাফি তথা নরম হয়ে আসে।
৪. মিশ্রণটিতে কাঙ্ক্ষিত টেক্সচার চলে আসলে বুঝতে হবে বডি বাটার ময়েশ্চারাইজার তৈরি হয়ে গেছে। ময়েশ্চারাইজার তৈরি হয়ে যাবার পর মুখবন্ধ কাঁচের জারে তুলে সেটা সংরক্ষণ করতে হবে।
১. মধু থাকার ফলে তৈরিকৃত ময়েশ্চারাইজারটি সম্পূর্ণ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা নিয়মিত ব্যবহারে র্যাশ কিংবা পিঠে ব্রণের উপদ্রব দেখা দেওয়ার মাত্রা কমে যায়।
২. একজিমার সমস্যা কমাবে এই ময়েশ্চারাইজার।
৩. অতিরিক্ত শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ভালো করে তুলবে খুব সহজেই।
৪. সবচেয়ে ভালো উপকারিতা হলো, এই ময়েশ্চারাইজারটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করবে এবং ত্বকের বলিরেখা দেখা দেওয়া প্রতিরোধ করবে।
আরো পড়ুন: ব্ল্যাকহেডস দূর করতে ওটস
আরো পড়ুন: ত্বকের যত্নে কেন দুধ ব্যবহার করবেন?