ফের বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এসময় শরীরচর্চার পাশাপাশি ফুসফুসের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।
সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে, তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ধারণক্ষমতা কমে। তাই বয়স ৪০ পেরোলেই ফুসফুসের প্রতি নিয়মিত বেশি খেয়াল রাখা দরকার।
ফুসফুসকে যত্নে রাখতে কেবল ধূমপান ছাড়লেই হবে না, খাদ্যাভাসেও আনতে হবে বেশ কিছু বদল। এমন কিছু শাকসবজি ও ফল আছে, যা ফুসফুসকে সতেজ রাখে।
পেঁয়াজ ও রসুন
এই দুই সবজি প্রদাহের প্রবণতা কমায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কার্স অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান, ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে ভোগার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাদের।
আদা
প্রদাহ কমায়। অল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
লঙ্কা
কাঁচালঙ্কা খেলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
তিসি বীজ
তিসির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। এই সময়ে নিয়মিত দুধ-হলুদ রাখুন ডায়েটে। ফুসফুস সতেজ রাখতে এই পানীয় দারুণ উপকারী।
ফল ও সবজি
আপেল, পেয়ারা, শসা, সফেদা— এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চিতভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এই সব সবজি। কাজেই এগুলো রাখতে হবে খাবারে।