কফি কিংবা চা পানে সমস্যা নেই। তবে তারও আগে পান করা প্রয়োজন শরীরের জন্য উপকারি ও প্রয়োজনীয় পানীয়- লেবুপানি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন-সি তে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান লেবুকে দিনের শুরুতে রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটাই তুলে ধরা হলো।
শরীরকে সুস্থ ও সচল রাখতে প্রয়োজন পুষ্টিগুণ ও মিনারেলের মাঝে অন্যতম হল ভিটামিন-সি। শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন উপকারি এই ভিটামিনটি।
তাই শরীরে যেন ভিটামিন-সি এর ঘাটতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে নিয়মিত লেবুপানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সকালে এক গ্লাস লেবুপানি পানের ফলে, সারাদিনের ভিটামিন-সি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। যা শরীরের কর্মক্ষমতার জন্য জরুরি।
লেবুতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ। যা শরীরের ইনফেকশন তথা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বিশেষত গলার ইনফেকশন প্রতিরোধে ও ইনফেকশনের মাত্রা কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে লেবুর রস।
একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, নিয়মিত লেবুপানি পানের ফলে মানসিক চাপ কমে যায় বেশ অনেকটা। সেই সঙ্গে কমে যায় অবসাদের প্রকোপ। লেবুতে থাকা উপকারি উপাদান শরীরে প্রশান্তি ও ভালো বোধ করা হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। যে কারণে সকালে এক গ্লাস লেবুর রস সারাদিনের মানসিক শক্তির বাহক হতে পারে খুব সহজেই।
ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারি ও প্রয়োজনীয় উপাদানটি হলো ভিটামিন-সি। ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে ভিটামিন-সি এর অবদান সবচেয়ে বেশি। পাশপাশি ত্বকের বলিরেখা দেখা দেওয়া প্রতিরোধ করা ও ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে লেবু।
বাড়তি ওজনকে লাগামের মাঝে রাখতে লেবু ও লেবুপানির কথা আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। ওজন কমাতে সহায়ক লেবু সকালে লেবুপানি হিসেবে খালি পেটে পান করলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে পানিটা হতে হবে কুসুম গরম। শরীরে ও রক্তে জমে থাকা বাড়তি ফ্যাট কমাতে লেবুর রস খুবই উপকারি।
লেবুর রসের পটাশিয়াম রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উচ্চরক্ত চাপের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবুপানি পান আবশ্যিক। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, লেবুপানিতে যেন লবণ ব্যবহার করা না হয়। লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
বদহজম, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সহ নানাবিধ পেটের সমস্যায় প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। লেবুতে থাকা আঁশ ও অ্যাসিড খাদ্য পরিপাক ঠিক রাখার পাশাপাশি, পাকস্থলীর অ্যাসিডের নিঃসরণ ঠিক রাখতে কাজ করবে। ফলে রোগের প্রকোপ কমে যাবে অনেকটা।
আরো পড়ুন: ওজন কমাতে বিটের জ্যুস
আরো পড়ুন: খাদ্যাভাসে রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে