জন্মগত রোগ হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জন্মের ঠিক পরেই সমস্যাটা কোথায়, তা বোঝা যায় না। কিন্তু সেই সমস্যার জেরে ভুগতে হয় আজীবন। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক না হওয়ায় শারীরিক বৃদ্ধি থেকে মানসিক বৃদ্ধি, পিছিয়ে থাকে সবটাই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগের নাম ‘কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম’ (সিএইচ)।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, থাইরো হরমোনের ত্রুটির জন্যই এই রোগ দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে মানবদেহের গলায়। কিন্তু যাদের থাইরয়েড গ্রন্থি জিভের তলায় বা অন্য অংশে থাকে, তারাই এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। আবার গ্রন্থিতে সঠিক পরিমাণ হরমোন উৎপাদন না হলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
সন্তানধারণের প্রথমিক পর্যায়ে ভ্রূণ অবস্থাতেই এই গ্রন্থি তৈরির কাজটি শুরু হয়ে যায়। অনেক শিশুর শরীরে জন্ম থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়। বহু শিশুর আবার থাইরয়েড গ্রন্থি পরিণত হয় না। অপরিণত থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েডের জোগান দিতে পারে না। নবজাতকদের থাইরয়েড হওয়ার কারণ বেশির ভাগটাই বংশানুক্রমিক। তাছাড়াও শরীরে আয়োডিনের অভাবের কারণেও এই রোগ হতে পারে। আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে।
কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার শিশুর থায়েরয়েড রয়েছে কি না:
>> শিশু খুব ঘুমোচ্ছে এবং মোটেই খেতে চাইছে না।
>> হাইপোথাইরয়েডের সমস্যা থাকলে জন্মের পর জন্ডিসের সমস্যা প্রকট হয়। এ ক্ষেত্রে বাচ্চারা অনেক শারীরিক সমস্যায় বেশ কিছু দিন ভোগে।
>> বাচ্চাদের ওজন হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে সতর্ক হতে হবে।
>> শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
>> অনেক সময়ে জ্বর না থাকলেও শিশুর শরীরে কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরে পেশির সক্ষমতা তেমন একটা দেখা যায় না।
তবে এসব লক্ষণ থাকলেই যে আপনার শিশুর থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, এমনটা নয়। তবে সতর্ক থাকা ভাল।