বর্ষাকাল এলেই বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কেউ মাথায় মেথির তেল মাখেন। আবার কেউ নিমের নির্যাসযুক্ত শ্যাম্পুও ব্যবহার করেন। ঘরোয়া টোটকা বা চিকিৎসকের দেওয়া ‘মেডিকেটেড’ শ্যাম্পু ব্যবহার করে সাময়িক সমস্যা মিটলেও তা পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায় না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির সমাধান খোঁজার আগে, জানা প্রয়োজন খুশকি কেন হয়। খুশকিরও কিন্তু প্রকারভেদ রয়েছে। মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী খুশকির ধরনও পাল্টে যেতে পারে।
মাথায় খুশকি কেন হয়?
মাথার ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলে তা অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও চুলে অতিরিক্ত তাপ লাগলে, রাসায়নিক নির্ভর চুলের কোনও ট্রিটমেন্ট করালেও খুশকি হতে পারে। আবহাওয়ার খামখেয়ালি মনোভাবের কারণেও মাথা খুশকিতে ভরে উঠতে পারে।
খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে মাথার ত্বকের যত্ন নেবেন?
মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা
শরীরে পানির অভাব থাকলে মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই চুল এবং মাথার ত্বকের যত্ন নিতে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
প্রতি দিন চুলের যত্ন
তাড়াহুড়ো করে শুধু শ্যাম্পু করে নিলেই হবে না। এক দিন অন্তর মাথায় তেল মাখতে হবে। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। তবে যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তারা সপ্তাহে দু’দিন তেল মাখলেও চলবে।
কন্ডিশনিং
কারও কারও চুল অতিরিক্ত শুষ্ক। এই রুক্ষ বা শুষ্ক চুলে ডগাফাটার সমস্যা দেখা যায়। সাধারণ কন্ডিশনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে না। তাই ঘরোয়া কিছু জিনিস যেমন দই, মেয়োনিজ, অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার করতে পারেন।