টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হাঁটু পানি জমেছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাতা ও রেনকোটের দোকানগুলিতে ভিড় বাড়ছে। তবে বর্ষার মৌসুমে সঙ্গে শুধু ছাতা রাখলেই চলবে না, ঠিকঠাক একটা জুতাও পরতে হবে। সারা বছর যে জুতা পরে দাপিয়ে বেড়ান, জলকাদায় কিন্তু সেই একই জুতা পরলে মুশকিলে পড়তে পারেন। তাছাড়া, এ সময় রাস্তাঘাটও পিছল থাকে। ফলে এমন জুতা পরতে হবে যে, বাস ধরতে দৌড়লেও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না বর্ষায় কী জুতা কিনবেন। বর্ষায় জুতা কেনার আগে যদি মনে রাখেন কয়েকটি পরামর্শ, তা হলে এই মৌসুমে নিস্তার পেতে পারেন পায়ে ফোস্কা কিংবা অন্য কোনও সংক্রমণ থেকে।
>> বৃষ্টির মৌসুমে বাইরে পরে যাওয়ার জন্য ফ্লিপফ্লপ হল আদর্শ জুতা। পশ্চিমা থেকে সাবেকি, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই বেশ ভাল মানাবে এই জুতা। তবে এই ধরনের জুতা পরলে জোরে হাঁটাচলা কিংবা দৌড়তেও কোনও অসুবিধা হবে না। জমা পিানি পেরোতেও অসুবিধা হবে না।
>> সারা বছর স্নিকার্স পরেন? তাহলে বর্ষায় আর নতুন কোনও জুতা বাছতে হবে না। স্নিকার্সই পরতে পারেন। বর্ষার জমা পানি থেকে সুরক্ষিত থাকবে পা। তাছাড়া, পিছল রাস্তায় অনেক সময়ে হাঁটতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে স্নিকার্স পরা থাকলে পড়ে যাওয়ার ভয় নেই। তবে স্নিকার্সের সোল কিন্তু ভাল হওয়া জরুরি।
>> অনেকেই আছেন হিল পরতে পছন্দ করেন। সারা বছর বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে নানা ধরনের হিল পরেন। তবে বর্ষায় যদি হিল খানিক এড়িয়ে চলতে পারেন, তা হলে ভাল। রাস্তায় কোথায় খানাখন্দ রয়েছে, পানি জমে থাকার কারণে তা সব সময়ে বোঝা যায় না। হিল পরে বেরোলে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়।
>> বর্ষায় ফ্ল্যাট জুতা একেবারে আদর্শ। জমা পানি কিংবা কাদা মাখা রাস্তাঘাট, এই ধরনের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ। তবে ফ্ল্যাট হলেও অনেক জুতা বেশ স্লিপারি। পিছল রাস্তাঘাটে পরে যাওয়া বিপজ্জনক। সে ক্ষেত্রে চামড়ার খোলামেলা কোনও জুতা পরতে পারেন। জুতায় পানি জমে যাওয়ার কোনও ভয় হয় না। পায়েও দুর্গন্ধ হয় না।