আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে মন ও মনোযোগের উপর প্রভাব পড়ে। ফলে অফিসে কাজে মনোনিবেশ করাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এছাড়া বছর শেষের দিকে বলে অফিসে কাজের চাপটাও থাকে বাড়তি। এ সময়ে চাইলেও কাজে পিছিয়ে পড়া সম্ভব নয়।
কীভাবে নিজেকে কর্মদীপ্ত রাখবেন? সেটাই জানানো হয়েছে আজকের ফিচারে।
অফিসে প্রবেশের পরের সময় থেকে দুপুরের খাবারের সময়ের মাঝের যেকোন এক সময়ে বিরতি নিলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সকালে ঘুমের রেশ অনেকাংশেই ভালোমতো কাটে না। ফলে কাজে মনোনিবেশ করা কষ্টকর হয়ে যায়। দিনের আলোতে অল্প সময়ের বিরতি নেওয়া হলে, ঘুমভাব কেটে যায়। এরপর পুরোদমে ও পূর্ণ মনোযোগে কাজ করা যায় সহজেই। যদি বাইরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আলোযুক্ত কোন স্থানে বসে সহকর্মীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেও উপকার পাওয়া যাবে।
নিজের কাজের ডেস্কটিতে হাজারো কাজের জিনিসের মাঝে ছোট একটি পেপারমিন্ট অয়েলের বোতলও রেখে দিন। অফিসে খুব বেশি কাজের চাপে মাথা কাজ না করলে, মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে কিংবা মাথা ঘোরানো ও বমিভাব দেখা দিলে পেপারমিন্ট অয়েলের বোতল খুলে তার সুঘ্রাণ টেনে নিতে হবে। আরামদায়ক ও প্রশান্তিদায়ক পেপারমিন্টের মিষ্টি সুবাস মনকে শান্ত করতে কাজ করে।
দাঁতের ক্ষতির কারণে চুইংগাম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও, চুইংগাম কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সাহায্য করে। কীভাবে? গবেষকেরা জানান, চুইংগাম চিবানোর ফলে পেশীর উপর চাপ তৈরি হয়, যা ঘুমভাবকে স্তিমিত করে ফেলে। এছাড়া চাবানো অব্যাহত থাকার ফলে ট্রাইজেমিনাল নার্ভের কাজ ত্বরান্বিত হয়। যা মস্তিষ্কের কিছু অংশকে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে। তাই কাজের মাঝে হুট করে প্রচন্ড ঝিমুনি কাজ করলে কিংবা কাজে মন না বসলে চুইংগামের সাহায্য নিতে পারেন নির্দ্বিধায়। সেক্ষেত্রে সুগার-ফ্রি চুইংগাম ব্যবহার করাই ভালো।
যত পছন্দের বা ইন্টারেস্টিং কাজই হোক না কেন, একটানা কাজ করার ফলে একঘেয়ে ও বিরক্তিভাব দেখা দিবেই। তাই নিজেই নিজের জন্য টাইম সেগমেন্ট তৈরি করুন। প্রতি আধা ঘন্টা অন্তর অফিসের ভেতরে অথবা নিজের রুমের ভেতরেই দুইবার একমাথা থেকে অন্য মাথায় হাঁটাচলা করুন। এতে করে শরীর ও মন অনেকটা রিল্যাক্স হবে।
বেশ কয়েকটি গবেষণা থেকে কালার সাইকোলজিস্টরা জানান, মন ভালো-খারাপের উপরে রং এর প্রভাব রয়েছে। নিজেকে উৎফুল্ল রাখতে বর্ণীল পোশাক বেছে নিতে হবে। খুব বেশি কটকটা রং নয়, তবে উজ্জ্বল রংগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ক্যারিয়ারে যখন হতাশা!
আরো পড়ুন: কর্মক্ষেত্রেও থাকুন আত্মবিশ্বাসী