শীত আসছে। তবে শীত আসার আগেই হাজির হয় খুশকি। মাথার লোমকূপে ময়লা জমে এবং ছত্রাকের প্রভাবে খুশকি হয়। এ ছাড়া আর্দ্রতা কমে গিয়ে চুল রুক্ষ্ম হয়ে গেলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
খুব সুন্দর করে সেজেছেন, দারুণ পোশাক, পারফেক্ট মেকআপ৷ কিন্তু একটু কাছে গেলেই চুলের ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট ছোট্ট সাদা খুশকি ভেসে উঠতে দেখা যায়, তাহলে দেখটে কেমন লাগে বলুন! বিশেষ করে বছরের এই সময়টাতে শীতকালে খুশকির সমস্যা কম-বেশি সবাইকেই বিব্রত করে৷
খুশকি শুধু লোকলজ্জার কারণ হয়ে ওঠে না, খুশকি চুলের গোড়া আলগা করে দেয়। ফলে অকালে চুল ঝড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বা নামীদামী স্যালন নয়, ভরসা রাখুন ঘরোয়া কিছু উপাদানে।
মধু এবং লেবুর মিশ্রণ
চুল পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন লেবু। মধু ফিরিয়ে আনে চুলের আর্দ্রতা। তাই এই দুইয়ের মিশ্রণে সহজেই আপনার চুলের খুশকি দূর হতে পারে। তিন থেকে চার টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন অর্ধেক লেবুর রস। সেই মাস্কটি দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে মাথায় মাসাজ করুন ধীরে ধীরে। এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল এবং নিম
শীতে চুলকে ভাল রাখে নারকেল তেল। এই তেলের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে খুশকি তাড়ানোর ওষুধ। সমপরিমাণ নারকেল এবং নিম তেল দিয়ে তৈরি মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ সেটি রাখার পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
টকদই
খুশকির সমস্যা থেকে বাঁচতে টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দুইবার এভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করা যেতে পারে।
পেঁয়াজের রস
খুশকি দূর করার অনন্য উপাদান পেঁয়াজের রস। দুইটি পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ জলে মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পেঁয়াজের রস ভালো করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
মেথি
মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভালো করে বেটে নিন। মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে করলে উপকার পাওয়া যাবে দ্রুত।