প্রযুক্তি এই যুগে মানুষের জীবন অনেকটাই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এরমধ্যে মোবাইল ফোন এমন এক যন্ত্র যা ছাড়া প্রতিদিনের জীবন কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু যদি আপনার জীবনসঙ্গী মোবাইল ফোনের ওপর আসক্ত হয়ে যায় তাহলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
দম্পত্য জীবন নিয়ে কাজ করা কানাডার থেরাপিস্ট ডা. ট্রেসি ডালগ্লিশ তার একটি পোস্টে এই সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন। আপনার সঙ্গীও যদি ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হয় তবে কি করতে হবে দেখে নিন।
যেকোনো সম্পর্কে কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বলুন। প্রতিদিন আপনার সারাদিনের ঘটনা ও গল্পগুলো তাকে বলুন। তার সারাদিন কেমন কেটেছে তা জানতে চাইতে পারেন। আপনার অনুভূতি এবং উদ্বেগ গুলো তার কাছে প্রকাশ করুন। পার্টনারকে ভালো অনুভব করাতে তার কাজে তাকে উৎসাহ প্রদান করুন।
অভিযোগমূলক বা সমালোচনামূলক কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করা ভালো। এর চেয়ে বরং আপনার অনুভূতি দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। আপনার আবেগ এবং প্রয়োজনগুলি তাকে সরাসরি বলুন। একাবোধ করলে বা এড়িয়ে চলছে অনুভব করলে সেগুলোও তাকে জানান।
তার ঘন ঘন ফোনে থাকার কারণগুলো বুঝতে আগ্রহী হন। সঙ্গী হিসেবে আপনাকে তার স্বস্তির স্থান হিসেবে তাকে অনুভব করান। নিজের সম্মান বজায় রাখুন এবং তাকেও সম্মানিত করুন।
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতি ঠিক করে নিন। যেখানে উভয়ই একসাথে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবেন। হতে পারে তা খাবারের সময়, বাইরে হাঁটতে যাওয়া বা একসাথে বারান্দায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করা।
নির্দিষ্ট অঞ্চল বা সময়গুলিকে প্রযুক্তি-মুক্ত অঞ্চল হিসাবে দু’জন মিলে ঠিক করে নিন। যেমন, হতে পারে বেডরুম। ঘুমানোর সময় কেউই শোয়ার ঘরে মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্য কোনো যন্ত্র আনবেন না এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আপনি যে আচরণ তার থেকে প্রত্যাশা করেন, নিজেও তা প্রদর্শন করুন। গল্প করার সময় আপনার সঙ্গীর মনোযোগ যদি আশা করেন,তবে আপনাকেও তাই করতে হবে। নিজের ফোনের অভ্যাসের দিকেও নজর দিন।
তথ্যসূত্র: দ্য এন্ডিয়ান এক্সপ্রেস