ঝাড় দেওয়া না হলে যেমন দিনদিন ধুলা জমতে থাকে, তেমন যত্ন না নিলে ত্বকের পরিণতি খারাপ হতে থাকে। তাই এখন টুকটুাক রুপচর্চা সবাই করে। শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ত্বক পানি হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। ব্যতিক্রম নয় মাথার ত্বকও। শীতকালে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকি তৈরি হয়। এছাড়াও বেড়ে যায় চুল ঝরা সমস্যা। তাই এই সময়ে চুলের যত্ন বিশেষভাবে নেওয়া উচিৎ। তবে কি করতে হবে তার সাথেই জানতে হবে কি করা এড়িয়ে চলতে হবে। শীতে চুলের যত্ন ও এ সময় অবলম্বনকারী কিছু সতর্কতা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন মুম্বাইয়ের ত্বক ও চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিকিতা সোনাভনে।
চুলের যত্নে প্রতিদিন করণীয়:
চুলকে সতেজ ও পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন চুল ভিজিয়ে গোসল করতে হবে। এতে চুল হাইড্রেটেড থাকবে। চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখতে গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক এসিড সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
শীতে স্ক্যাল্প ড্রাই থাকে বলে খুশকির সমস্যা বাড়ে। তাই ভালো মানের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। এতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং হয়।
শীতের প্রচন্ড বাতাস ও অনার্দ্র পরিবেশ থেকে চুলকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য বাইরে বেশ হওয়ার সময় টুপি বা স্টাইলিশ ওড়না বা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।
যেসব সাবধানতা অবলম্বন করবেন:
অ্যালকোহল ও সালফেট সমৃদ্ধ প্রসাধনী শীতকালে ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানান তিনি। কারণ এগুলো চুল থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুঁয়ে ফেলে। ফলে চুলের রুক্ষতা বেড়ে যায়। এছাড়াও এগুলো চুলের ভেঙ্গে পড়ার কারণ।
শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল আরামদায়ক হলেও চুলে কখনো গরম পানি লাগানো উচিৎ নয়। এর বদলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করা উচিৎ।
গোসলের সময় অনেক্ষণ ধরে চুল ধোয়া বা ভিজিয়ে রাখা ঠিক নয়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। ফলে চুল ঝরার সম্ভাবনা বাড়ে।
শীতে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার এর মতো যন্ত্রের ব্যবহার কম করাই ভালো।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে