অনেকে প্রায় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অলস বোধ করেন। ক্যাফিনযুক্ত পানীয় খেয়ে সারাদিনের জন্য শক্তি জোগাড় করতে হয়। জীবনযাপনের এলোমেলো ব্যবস্থাপনার কারণে এমন হয়।
শক্তি হ্রাসকারী কার্যকলাপের উপর আমাদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। তবে শক্তি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীবন অনেকটা গুছিয়ে আনা যায়। এতে সুখী, স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনশীল জীবনধারা বজায় রাখা যায়। অলসতা কাটিয়ে জীবন সুন্দর করে গুছিয়ে তুলতে এই কাজগুলো করুন:
১.পুষ্টিকর খাবার: সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা-সুস্থ থাকার উপায়। শরীরে বেশি শক্তির জন্য ফল এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে। তার সাথে- চর্বিহীন প্রোটিন, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার এবং শস্যজাতীয় খাদ্য প্রয়োজন। সারাদিনে যথেষ্ট শক্তি পেতে সবধরণের খাবার খাওয়া উচিত।
২.পর্যাপ্ত ঘুম: সারাদিন উদ্যম থাকতে ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মেজাজ, অনুপ্রেরণা এবং শক্তিমাত্রা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিরাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে আরামদায়ক এবং বিশ্রামের পরিবেশ তৈরি করে নিন। শোয়ার ঘরে কম আলো এবং শব্দ রাখুন। একটি নির্দিষ্ট ঘুমের রুটিন তৈরি করে নিন। স্ট্রেস কমাতে ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখুন।
৩.অপ্রয়োজনীয় খবর এড়ানো: বিশ্বে যা কিছু ঘটছে, তা জানতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নজর রাখুন। শিক্ষামূলক এবং বিনোদন তথ্যগুলো আমাদের উন্নত করে। তবে কষ্টের কিছু গল্পও এর মাধ্যমে আমাদের কাছে চলে আসে। যা সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। এই গল্পগুলোকে সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যায় না। তবে পারলে এসবের প্রতি মনোযোগ কমানোর চেষ্টা করুন।
৪.নিয়মিত ব্যায়াম করুন: স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট শারীরিক কার্যকলাপ করা উচিত। এতে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। ব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা থেকে মুক্তি দেয়। তার সাথে পেশীকে শক্তিশালী করে সহনশীলতা বাড়ায়। এতে অন্যান্য শারীরিক কাজ বা ক্রিয়াকলাপের সময় শরীর সহায়তা করে।
৫.প্রতিদিন অর্থপূর্ণ কিছু করুন: মনের বিষাদ দূর করতে, বিশেষ প্রতিভা থাকলে তার অনুশীলন করুন। মনকে আনন্দ দেয় এমন সাধারণ কাজও করতে পারেন। যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করা বা প্রিয় গান শোনা।
তথ্যসূত্র: মায়োক্লিনিক হেল্থ সিস্টেম