ফলে ত্বকের শুষ্কভাব খুব সহজেই শরীরের বিভিন্ন স্থানে তার প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত মুখ ও হাতের যত্ন নেওয়া হলেও, পায়ের যত্ন সেভাবে নেওয়া হয় না একেবারেই।
যার দরুন খুব সহজেই পায়ের ত্বকে শুষ্কতা চলে আসে এবং পায়ের চামড়ায় টানভাব দেখা দেয়। যা পায়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একেবারেই নষ্ট করে দেয়। এই শীতে পা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি পায়ের আর্দ্রতাও নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এখন থেকেই সতর্ক না হলে পরবর্তীতে সমস্যায় ভুগতে হবে।
পায়ের ত্বকের আর্দ্রতা ও সুরক্ষায় উপকারী তেলের ব্যবহার হবে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। এমন কয়েকটি তেলের পরিচিতি জেনে রাখুন।
ত্বকের অসংখ্য উপকারিতাসহ সবচেয়ে উপকারী ও ভালো প্রাকৃতিক তেল হলো অলিভ অয়েল। প্রতিদিন গোসল পরবর্তী সময়ে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায় ভালোভাবে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। অলিভ অয়েল একইসঙ্গে পায়ের শুষ্কভাব দূর করতে ও পায়ের আর্দ্রতা রক্ষা করবে।
সৌন্দর্যচর্চা বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত এসেনশিয়াল অয়েলের মাঝে একটি হলো ল্যাভেন্ডার অয়েল। পায়ের ত্বকের জন্য ব্যবহারে ক্ষেত্রে সমপরিমাণ ল্যাভেন্ডার অয়েল ও দুধ মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ল্যাভেন্ডার অয়েল পায়ের মরা চামড়া দূর করতে ও পা পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে।
এসেনশিয়াল ল্যাভেন্ডার অয়েলের মতোই আমন্ড অয়েল পায়ের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। আমন্ড অয়েল ব্যবহারের আগে কুসুম গরম পানিতে পা মিনিট দশেক ভিজিয়ে রেখে এরপর পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে নিতে হবে। পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে পা শুকিয়ে শুধু আমন্ড অয়েল অথবা সমপরিমাণ দুধ ও আমন্ড অয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। রাতে এই মিশ্রণ পায়ে ম্যাসাজ করে মোজা পরে সারারাত রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
পায়ের যত্নে ও সুস্থতায় এই এসেনশিয়াল অয়েলটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। পায়ের ফাংগাল ইনফেকশন ও পায়ের ত্বকের যেকোন ধরণের সমস্যা মোকাবিলায় পিপারমেন্ট অয়েল ব্যবহার সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করে। একইভাবে পায়ের শুষ্কভাব দূর করার জন্যেও পিপারমেন্ট অয়েল দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন: এই শীতে পায়ের যত্নে
আরও পড়ুন: পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে চিন্তিত?