হাঁটার নানান উপকারী দিক

, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-19 17:12:08

হাঁটা এমন একটি ব্যায়াম, যা যেকোনো বয়সের জন্যই উপকারী। বাহ্যিকভাবে বেশি পরিশ্রম না করেই, শরীরের অধিকাংশ অংশ সুস্থ রাখা যায় হাঁটলে। বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাক্তাররাই হাঁটার পরামর্শ দেন। জেনে নেওয়া যাক, হাঁটার কিছু উপকারি দিক- 

১. হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য: নিয়মিত হাঁটলে হার্ট শক্তিশালী হয়। প্রতিদিন হাঁটলে রক্ত ​​সঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত হয়। পাশাপাশি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

২. ওজন ব্যবস্থাপনা: হাঁটা এক ধরণের ব্যায়াম। হাঁটলে শরীরের ক্যালোরি বার্ন করে। ফলে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, এমনকি কমাতে সাহায্য করে। সহজেই শারীরিকভাবে ফিট থাকতে দিনে একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে রাখুন, হাঁটার জন্য।

৩. মেজাজ নিয়ন্ত্রণ: শারীরিক কার্যকলাপের সময় এন্ডোরফিন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরে ভালো হয় বলে একে ‘ফিল-গুড’ হরমোনও বলে। হাটাহাটি করলে রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা দূর হয়।

৪. হাড়ের জয়েন্ট: হাঁটা হল একটি স্বল্প প্রভাব বিস্তানকারী ব্যায়াম। হাড়ের জয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। হাঁটলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া জয়েন্টের নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৫. হাড়ের ঘনত্ব: ওজন বহনকারী ক্রিয়াকলাপ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে। এর ফলে অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৬. হজম: নিয়মিত চলাচল হজমে সহায়তা করে। হাঁটলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের কার্যকারিতা মসৃণ হয়।  

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: পরিমিত ব্যায়ামের ফলে উন্নত ইমিউন সিস্টেম লাভ করা যায়। হাঁটার মতো ব্যায়াম শরীরকে অসুস্থতা এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৮. ভাল ঘুম: নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, ভাল ঘুমের গুণমানে অবদান রাখতে পারে। নিয়মিত হাটলে ঘুমের ধরণ এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্রাম নির্ধারণ করা সম্ভব ।

৯. শক্তি মাত্রা: শরীরে সঞ্চালন এবং অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি হয় হাঁটলে। এছাড়াও, শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি করে। হাঁটলে ক্লান্তির অনুভূতি দূর হয়। ফলে সামগ্রিক জীবনীশক্তি বাড়াতে পারে।

১০. সম্পর্ক: হাঁটা একটি সামাজিক কার্যকলাপও হতে পারে।  বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা নির্দিষ্ট দলের সাথে একসাথে হাঁটতে বের হলে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো থাকে। এতে একসাথে কাটানো সময়ের পরিমাণও বাড়ে আবার গল্প করারও সুযোগ পাওয়া যায়। এই সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার কারণে মানসিক সুস্থতাও বজায় রাখা যায়।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এ সম্পর্কিত আরও খবর