কর্মদক্ষতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পদোন্নতি হয়ে থাকে বলে, সর্বোচ্চ ভালো কাজ করার চেষ্টা করতে হবে সবসময়। নিজেকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখতে এবং ক্যারিয়ারে সফলতা আনতে চাইলে শুধু কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়াই যথেষ্ট নয়। ভালো কাজের পাশপাশি খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতিও।
নানান সময়ে কর্ম প্রতিষ্ঠানের চড়াই-উতরাই আসবে। তবে সবসময় নিজের কাজটি ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা থাকতে হবে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার।
কাজের খাতিরেই হয়তো নেটে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করতে হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় যেন নেটে ঘোরাঘুরি করা না হয়। এতে করে মনোযোগ ব্যাহত হবার পাশপাশি কাজের গতিও স্লথ হয়ে যায়।
কাজের ক্ষেত্রে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিবেই। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে নিজেকেই কাজ করতে হবে, চেষ্টা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। যেকোন সমস্যা নিজে সমাধানের চেষ্টা না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরক্ত করার স্বভাবটিকে একেবারেই বিদায় জানাতে হবে। যে সমস্যাটির সমাধান আপনার আয়ত্বে থাকবে, সেটার জন্য অন্য কাউকে বলা নেতিবাচক অভ্যাস হিসেবে দেখা হয়।
একটি কর্মস্থল গড়ে ওঠে একাধিক মানুষের সহায়তা, উদ্দীপনা ও চেষ্টায়। সকল ক্ষেত্রে ক্রমাগত শুধু নিজের জন্য চিন্তা করা, নিজের সুবিধার বিষয়ে জোর দেওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করে সামগ্রিকভাবে সবার সুবিধার দিকে নজর দিতে হবে। সিঙ্গেল নয়, টিম হিসেবে কাজ করার মনোভাবের উপর জোর দেওয়া হয় সবক্ষেত্রেই। নিজেকেও একটি টিমের অংশ হিসেবে ধরে নিতে হবে এবং সেইভাবে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
সূক্ষ্ম কোন কাজেও যদি আপনার অবদান থাকে তবে সেটাও জানান। এতে অস্বস্তি বা লজ্জাবোধ করার কিছু নেই। আপনার দক্ষতা, আপনার ডেডিকেশনের রূপ প্রকাশ করার মাধ্যমে নিজেকেই বরং আপনি নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে যেকোন ধরণের চাকরির ক্ষেত্রেই নেটওয়ার্ক অনেক বড় অবদান রাখে। নিজের জন্য তো বটেই, কর্মক্ষেত্রের জন্যেও নেটওয়ার্কিং এর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। এতে করে পারসোনাল গ্রোথ হবার পাশাপাশি নিজের পরিচিতিও গড়ে উঠবে।
একবারে অনেক বেশি কাজ করেও কোন লাভ নেই, যদি সেই কাজগুলো হয় ভুলে ভরা। বরং কোয়ালিটির দিকে খেয়াল রেখে কোয়ালিটিফুল কাজ করতে হবে। এছাড়া অনেকেই একসাথে ও একই সময়ে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করেন। এতে করে কোন কাজই সঠিকভাবে ও নির্ভুলভাবে করা সম্ভব হয় না। তাই যেকোন একটি কাজ মনোযোগ দিয়ে যত্ন সহকারে নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ দিনশেষে কাজের কোয়ালিটিটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন: ২০১৯ হোক ক্যারিয়ারের বছর