ঘি বাঙালির মুখরোচক খাবার। খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। শুধু কি তাই? এটি আমাদের সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কেউ কেউ রয়েছেন প্রতিদিনের রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করেন। আবার কারো পাতের গরম ভাতের সঙ্গে ঘি না হলে তো চলেই না! তাই বলে কি প্রতিদিন ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভারতের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. মিলটন বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনেকেরই মনে হয় ঘি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। সারাদিনে যে খাবারটা খাওয়া হয় সেটা অবশ্যই সুষম ডায়েট হওয়া উচিত। অর্থাৎ এই পুষ্টিবিদের মতে, খাবারে ৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ,৩৫ শতাংশ প্রোটিন এবং ১৫ শতাংশ ফ্যাট হওয়া উচিত।
যদি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘি তৈরি করা যায় তাহলে, এক চামচ ঘি-এর মধ্যে ১৩৫ ক্যালরি পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৫ গ্রামই পাওয়া যায় ফ্যাট, এবং ফাইবার কার্বোহাইড্রেট ও সুগারের পরিমাণ থাকে শূন্য । তবে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ,কে, ডি এবং ই পাওয়া যায় ।
ঘি টাকে যদি অল্প আঁচে জ্বালিয়ে তৈরি করা সম্ভব হয় তাহলে ভিটামিনের সব পুষ্টিগুণগুলো ওই ঘি-এর মধ্যে বজায় থাকে। ঘি এর মধ্যে সাধারণত যে ফ্যাট পাওয়া যায় সেটা স্যাচুরেটেড ফ্যাট হিসেবে থাকে। এই স্যাচুরেটেড ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী!
এছাড়াও ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিডও পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তবে পরিমাণে বেশি নয়। প্রত্যেক দিন যদি এক চামচ করে ঘি খাওয়া যেতে পারে তাহলে, এটি আপনাদের শরীরের ‘এলডিএল কোলেস্টেরলের’ পরিমাণটি কমাতে সাহায্য করবে। ঘি-এর মধ্যে যেহেতু সুগারের পরিমাণ পুরোপুরি জিরো থাকে তাই ঘি খেলে রক্তে সুগারের লেভেলও কম থাকবে!
ঘি ইনফ্লামেশন কমানোর পাশাপাশি যাদের করোনারি আরটারি ডিজিজ রয়েছে তাদের সেই রোগ প্রতিরোধ করতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। তাই কোনওরকম দুশ্চিন্তা না করে প্রত্যেকদিন এক চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। এমনকি যাদের সুগার রয়েছে তারাও ঘি খেতে পারেন।