বন্ধু হলো এমন এক মানুষ, যাকে বিপদে আপদে সব সময় পাশে পাওয়ার আশা মানুষ করে। জীবনে আমাদের কাছের যে মানুষ থাকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। অন্যান্য সম্পর্ক আমরা নিজেরা বাছাই করতে না পারলেও, বন্ধু এমন এক সম্পর্ক যা আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করতে পারি।
অনেক সময় বন্ধুদের সাথে থেকেও আমরা একাকিত্ব অনুভব করি। বন্ধুদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা ভিন্নরকম হতে পারে। সবসময় হয়তো পরিবেশে ও পরিস্থিতি একরকম থাকে না। বন্ধুদের মধ্যে থেকে একাকিত্ব অনুভব করলে তা হৃদয়কে ভারী করে তুলতে পারে।
অনেক সময় এরকম অনুভূতি যোগাযোগের অভাবে হতে পারে। অথবা আগ্রহ, মূল্যবোধ বা অনুভূতির ভারসাম্য ঠিক না থাকার কারণেও হতে পারে। সেই ব্যাপারেই মন্তব্য করেছেন থেরাপিস্ট ইসরা নাসির।
১. বন্ধুমহলে একাকিত্ব অনুভব করলে তা নিজেকেই কাটিয়ে উঠতে হবে। বন্ধুত্বে চাহিদা এবং প্রত্যাশার প্রতিফলন না ঘটালে সামনের মানুষ কখনোই আমাদের অনুভূতি বুঝবে না। কারণ যত ভালো বন্ধুই হোক, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি বোঝা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই নিজের অনুভূতি প্রকাশে নিজেকে আগে সোচ্চার হতে হবে।
২.অন্যদের উদ্যোগের অপেক্ষা করা যাবে না। অনেক সময় বন্ধুদের সাথে আমাদের দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও আমরা প্রকাশ করি না বা কাউকে জানাই না। আমরা অপেক্ষা করি , অন্য বন্ধুদের প্ল্যান করার। সেই কাজটা চাইলেই আমরা করতে পারি। দেখা করার এবং সুন্দর একটা সময় কাটানোর পরিকল্পনা করা খুব কঠিন কিছু নয়।
৩.আমাদের নিজেদের পরিবেশের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হতে হবে। আমাদের চারপাশে আমাদের সাথে কারা বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী, তা লক্ষ্য করতে হবে। এভাবে বন্ধুবৃত্ত বড় করার পরিকল্পনা করতে হবে।
৪. কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে এমন মনে হলে তার সাথে একান্তে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। তাদের থেকে আমরা যেরকম ব্যবহার আশা করছি তা সরাসরি জানাতে হবে। একাকিত্ব অনুভব করার সম্পর্কেও তাদের জানাতে পারেন।
৫.শুধু সংখ্যায় বন্ধু বাড়ানোর চেয়ে, বন্ধুত্বে গভীরতা বাড়ানোতে মনোযোগী হতে হবে। কারণ, বিপদে পাশে থাকবে এমন বন্ধুই প্রয়োজন। তাই সংখ্যায় কম হলেও, প্রকৃত বন্ধুর গুরুত্ব বেশি।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস