কর্মোদ্দীপ্ত থাকতে চাইলে এই সকল নিয়মের ছাঁচে নিজেকে ফেলতে হবে ঠিকঠাকভাবে।
নিয়মের কথায় সকলেই কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যায়। কিন্তু এই নিয়মগুলো মোটেও কষ্টকর কিংবা খটোমটো নয়। বরং নিজেকে আরও বেশি সুস্থ ও কাজের প্রতি মনযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অনেক। ক্যারিয়ারে নিজেকে সফল অবস্থানে দেখতে চাইলে ভীষণ প্রয়োজনীয় এই নিয়মগুলোই হবে আপনার সবচে’ ভালো বন্ধু।
যেকোন কাজের জন্যেই তালিকা তৈরি করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ কোন কাজই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সম্ভাব্য কাজের জন্য কি প্রয়োজন হতে পারে, কি ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া লাগবে- তার একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা থাকলে কাজ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
একটু অদ্ভুত মনে হলেও সামান্য এই কাজটিই অনেক বড় ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে জীবনে ও কাজের ধারার উপর। নিজের ছোটখাটো সাফল্যে নিজেকে নিজেই পছন্দের কোন জিনিস উপহার দিন। ধরুন কোন একটা মিটিং এ খুব চমৎকার প্রেজেন্টেশনের পর সবার বাহবা পেলে নিজের জন্য সেই বইটি অর্ডার দিয়ে দিন, যেটা গত কয়েকদিন ধরে কিনতে চাচ্ছিলেন। আদতে খুব ছোট এই কাজগুলোই পরবর্তীতে বড় কাজের প্রতি উদ্দীপ্ত করে তোলে।
এটা মনে রাখুন যে আপনি কোন রোবট নন। প্রতিটি মানুষের একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় শুধুমাত্র ছুটির দিনগুলোতে বিশ্রাম নেওয়া যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে কাজের চাপ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বিরতি নিন। নিজেকে যদি সময় না দেন, বিশ্রাম না দেন তবে কাজের গতি কমে যাবে অনেকখানি। বরং কিছুটা বিশ্রাম কাজের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে তুলনামূলক অনেকটা বেশি।
একটা বিষয় ভালোভাবে মনে রাখা প্রয়োজন। কাজের ক্ষেত্রে যত বেশি অ্যাকটিভ থাকতে চাইবেন, নিজেকে তত বেশি নিয়মের মাঝে রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমেই ঘুমের সময়কে নিয়মের মাঝে আনতে হবে। ঘুমানোর ও ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময়কে কোনভাবেই ব্যহত করা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার ও দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার এবং আট ঘন্টা পরিপূর্ণভাবে ঘুমানোর।
কাল্পনিক কোন লক্ষ্য তৈরি করা এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য তৈরি করার মাঝে অনেক বড় তফাৎ রয়েছে। নিজের কাজ, কাজের অগ্রসর ও কাজের পরিকল্পনাগুলো হতে হবে সুপরিকল্পিত ও বাস্তবসম্মত। তবে সঠিকভাবে তা পালন ও সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। যদি কাজের পরিকল্পনা করা হয় আবেগের বশে, তবে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত হয়ে যায় এবং তা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
অবশ্যই কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়ার বা রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন হয়। কাজের মাঝে নিজেকে সময় দেওয়ায় কোন ক্ষতি নেই। মোবাইলে গেমস খেলা, গান শোনা কিংবা ভিডিও দেখা যেতেই পারে। কিন্তু এই রিফ্রেশমেন্ট যেন লম্বা সময়ের জন্য না হয়। নইলে কাজের প্রতি আগ্রহ, মনোযোগ ও ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যাবে। স্বল্প সময়ের রিফ্রেশমেন্ট কাজের গতি বাড়িয়ে দিলেও, দীর্ঘ সময়ে গড়ালে তা সময় নষ্ট করে এবং কাজের ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন: মন বসে না কাজের টেবিলে!
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রেও থাকুন আত্মবিশ্বাসী