যার প্রধান কারণ জীবনযাপনের অব্যবস্থাপনা এবং ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়া। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ তো আছেই।
ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে আরও বেশি তথ্য মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর পুরো বিশ্বে ৪ই ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিসব’ পালন করা হয়। ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল (UICC) এর সহায়তায় ২০০৮ সাল থেকে এই দিনটি পালন করা হয়ে আসছে।
মূলত ক্যান্সারের জন্য সচেতনতা ও ভ্রান্তি ধারণাকে দূর করার লক্ষ্যেই এই দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাইলে আপনিও এই সচেতনা তৈরিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। নিজ পরিবারে ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের মতামত জানা ও ভ্রান্ত ধারণ দূর করার মাধ্যমে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায় সহজেই।
ক্যান্সারের ঝুঁকিকে যথাসম্ভব দূরে রাখতে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এমন কয়েকটি নিয়ম তুলে ধরা হলো।
তামাক কাঁচা চিবানো কিংবা ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য একইরকম নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তামাক শরীরে ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়। তামাকপাতা মুখ, গলা, শ্বাসনালী, ফুসফুস এর ক্যান্সার তৈরির জন্য দায়ী। এছাড়া কিডনি ও সারভিক্স ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনাকেও ত্বরান্বিত করে তামাকজাত পণ্য। যদি আপনি তামাকজাত কোন পণ্যে প্রতি আসক্ত হন তবে যতদ্রুত সম্ভব এই আসক্তি থেকে উঠে আসতে হবে। বিশেষত ধূমপানের অভ্যাস সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।
যদি মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তবে এই অভ্যাসটি সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে দিতে হবে। পাকস্থলী, লিভার ক্যান্সারসহ হৃদরোগের সম্ভনাও দেখা দেয় মদ্যপানের ফলে।
খাদ্যাভাসে যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি, ফ্রেস ফল, শস্যযুক্ত খাবার, বাদাম ও অলিভ অয়েল রাখার চেষ্টা করতে হবে। এদিকে তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার উপর জোর দিলেও রেড মিট তথা গরু ও খাসির মাংস খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্যাভাসের সঠিক নিয়ম ক্যান্সারকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত মাত্রায় রোদের আলো প্রয়োজন হলেও, রোদের প্রকট আলো ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি স্কিন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাই যথাসম্ভব রোদের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষত মধ্য দুপুরের রোদের আলো অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই সময়ে বের হবার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং ছাতা সঙ্গে রাখতে হবে।
জানেন কি দুর্বল পেশী ও অতিরিক্ত মেদ ক্যান্সার দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়! প্রতিটি মানুষের মেটাবলিজমের মাত্রা ভিন্ন হয়। যে কারণে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টার শরীরচর্চা মেটাবলিজমের মাত্রাকে সঠিক পর্যায়ে রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।