তবে নিয়ম মেনে চললে ও ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে পারলে এই সমস্যাটিকে কমিয়ে রাখা যায় যথাসম্ভব। ব্রণের সমস্যার মতো ত্বকের আরেকটি বড় সমস্যা হলো, মুখের ত্বকে ব্রণের দাগ থেকে যাওয়া।
অ্যাকনে ঘরানার ব্রণ হলে কিংবা নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটা হলে, সেই ব্রণ থেকে দাগ তৈরি হয়। যা ত্বকে লম্বা সময়ে জন্য রয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে দাগ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ত্বকে বসে যায়।
ত্বক থেকে ব্রণের দাগকে দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যালযুক্ত অয়েন্টমেন্ট কিংবা প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।
ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর করতে যে তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তা তুলে ধরা হলো।
ত্বকের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করবে আলুর রস। আলুর রস ব্যবহারের জন্য একটি আলু গ্রেট করে করে নিতে হবে। গ্রেট করা আলু মুখের আক্রান্ত অংশে দিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর হার্বাল ফেসওয়াশের সাহায্যে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে আলু ব্যবহার করতে পারলে পনের দিনের মাঝেই ব্রণের দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
এমন নামকরণের কারণ হলো, এই মাস্কটি তৈরিতে চিনির ব্যবহার রয়েছে। এই মাস্ক প্রস্তুত করতে প্রয়োজন হবে বিশুদ্ধ চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। তিনটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর গরম পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
বেকিং সোডার অসংখ্য ব্যবহারিতা ও উপকারিতার মাঝে একটি হলো, ত্বক পরিষ্কার করা ও ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর করা। ত্বকের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আধা চা চামচ বেকিং সোডা এক-দুই চা চামচ পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে। মুখে বেকিং পাউডার শুকিয়ে গেলে সাধারণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।