সকালের নাস্তায় যাই খাওয়া হোক না কেন, সেই খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসম্পন্ন। এছাড়া সারাদিনের মাঝে সকালের নাস্তাটাই খাওয়া চাই একদম পেট ভরে। এতে করে সারাদিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায় এবং অহেতুক ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না।
সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, সে বিষয়ে জানা নেই অনেকের। যে কারণে প্লেট ভরে ভাত কিংবা অতিরিক্ত তেলযুক্ত ভাজি খেয়ে ফেলা হয়। যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ হানিকারক।
আজকের ফিচারটি থেকে জেনে নিন সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো খাওয়া স্বাস্থ্যকর ও উপকারী।
স্বাস্থ্যকর এই খাদ্য উপাদানটিতে আছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। এছাড়া ওটস থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ফলেট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা কিনা সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে কাজ করে। সকালের নাস্তায় দুধ, মধু, বাদাম ও ফলের সঙ্গে ওটস খাওয়ার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসম্মত নাস্তা হিসেবে ধরা হয়।
প্রোবায়োটিক সম্পন্ন খাবারের মাঝে দই সবচেয়ে প্রথম সারিতেই থাকবে। দুগ্ধজাত এই একটি খাবার খেতে পারবে যে কেউ। উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্যকর প্রোটিক সমৃদ্ধ দন ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, খাদ্য সঠিকভাবে হজম হতে ও পাকস্থলিকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। নাস্তায় দই খাওয়ার জন্য সঙ্গে চিড়া ও কলা রাখা যেতে পারে। অথবা পছন্দসই ফল ও মধুর সঙ্গে স্মুদি তৈরি করেও পান করা যাবে।
সাধারণত ব্রেড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলেও, হোল গ্রেইন ব্রেড স্বাস্থ্যকর ও পেটের জন্য উপকারী। তাই সকালের নাস্তায় স্বাচ্ছন্দে হোল গ্রেইন ব্রেড খাওয়া যাবে। সঙ্গে সুগার ফ্রি জেলি অথবা মাখন ও কলা থাকলে পেট ভরে নাস্তা খাওয়া হয়ে যাবে।
ডিমের কথা না বললেই নয়। দারুণ এই সুপারফুডকে সকালের নাস্তার মেন্যু থেকে কোনভাবে দূরে রাখা সম্ভব নয়। ওটস কিংবা হোল গ্রেইন ব্রেড- যাই খাওয়া হোক না কেন, একটি ডিম অবশ্যই নাস্তায় রাখতেই হবে। ডিম প্রতিদিন খাওয়া যাবে না, ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে, ডিম হৃদরোগের সম্ভবনা বাড়ায়- এই ধরণের ভ্রান্ত ধারণা এখনকার সময়ে একেবারেই পুষে রাখা যাবে না। বরং সকালের নাস্তায় একটি ডিম খাওয়ার ফলে ক্ষুধাভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, সারাদিনে শরীরের পুষ্টির উৎসও পাওয়া হয়ে যায়। ডিম খাওয়ার জন্য হাফ কিংবা ফুল বয়েলড এগ খাওয়াই উত্তম।
হুট করে এই ফলের কথা সকালের নাস্তায় দেখে অবাক হবার কিছু নেই। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ফল হিসেবে গ্রেপফ্রুট হতে পারে সবচেয়ে ভালো পছন্দ। কমলালেবুর আকৃতি ও জাম্বুরার মতো কোয়ার এই ফলটি বিভিন্ন সুপার শপে সহজলভ্য। গ্রেপফ্রুটে থাকা পর্যাপ্ত আঁশ ও ভিটামিন-সি, দুটোই শরীরের জন্য ভীষণ দরকারি। সকালে শরীর তার প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি এর বেশিরভাগ অংশ পেয়ে গেলে, দিনভর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালোভাবে বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: তিনগুণ দ্রুততায় ওজন কমবে সহজ ‘একটি’ অভ্যাসে
আরও পড়ুন: অমনোযোগে বেশি খাওয়া হচ্ছে?