নানাবিধ উপাদানটির স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যেই এই উপাদানটি পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে, শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও এনার্জি বৃদ্ধিতে অবদান রাখা এই তরল পান করার পাশাপাশি সৌন্দর্যচর্চা ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজেও ব্যবহার করা যায় সমানভাবে।
অ্যাপল সাইডারের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলোকে সঠিকভাবে জানলে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসের তালিকায় রাখার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবার প্রয়োজন হবে না। এসিভির এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো।
ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে হরহামেশাই পেটের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যাগুলোকে দূর করতে এসিভিতে উপস্থিত অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান সমূহ কাজ করে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর করতে এসিভি পান খুব দ্রুত কাজ করে।
অ্যালার্জিজনিত কারণে অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ এসিভি মিশিয়ে পান করতে হবে। এসিভি পানের ফলে ভেতরে জমে থাকা মিউকাস পাতলা হয় এবং সাইনাস পরিষ্কার হয়।
ঠাণ্ডাজনিত কারণে গলাব্যথা দেখা দিলে এসিভি পান করতে হবে। এসিভির অ্যাসিডিক উপাদান গলাব্যথা তৈরিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। এসিভি পান করতে না চাইলে এসিভি মিশ্রিত পানির সাহায্যে গার্গল করলেও উপকার পাওয়া যাবে। এর জন্য ১/৪ কাপ এসিভির সঙ্গে ১ কাপ কুসুম গরম পানি মিশিয়ে নিয়ে গার্গল করতে হবে।
রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। এর ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বেশ কয়েকটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে, এসিভি সঠিক উপায়ে গ্রহণ করলে ও প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে রাখলে বাড়তি ওজন কমে যায় অনেকখানি। তবে এসিভি পানের পাশাপাশি ক্যালোরি গ্রহণের বিষয়েও সচেতন হতে হবে অবশ্যই।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জির সমস্যা কমবে এই খাবারগুলোতে!
আরও পড়ুন: কাঁচা খেলে পুষ্টি মিলবে সম্পূর্ণ!