যা শুধু চেহারার উপরে নয়, পুরো স্বাস্থ্যের উপরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দিচ্ছে। ক্ষতিকর এই খাবারটি হলো চিনি। সরাসরি চিনি খাওয়া না হলেও, অসংখ্য খাবারের মাঝেই চিনির উপস্থিতি থাকে। যার ফলে না চাইলেও চিনি খাওয়া হয়েই যায় প্রায় প্রতিদিন।
গবেষকেরা জানাচ্ছে, অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি গ্রহণের ফলে ত্বক সঠিক বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাচ্ছে, বলীরেখা দেখা দিচ্ছে এবং ত্বকজনিত সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। এখানে তুলে ধরা হলো কীভাবে চিনি ত্বকে বয়সের ছাপ এনে দিচ্ছে।
চিনি গ্রহণের ফলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তা হলো প্রদাহ তৈরি হওয়া। যা শুধু ত্বক নয়, শরীরের জন্যেও ক্ষতির কারণ। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং এ কারণে ত্বকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় অনেকখানি।
চিনিতে থাকা প্রদাহ তৈরিকারী উপাদান সমূহ ত্বকের সমস্যা তৈরি করার জন্য দায়ী। ত্বককে সুস্থ ও ভালো রাখার অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো কোলাজেন। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে এই কোলাজেন ভেঙে যায়। ফলে ত্বক সহজেই আর্দ্রতা হারায়, শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে ওঠে। যত যত বেশি শুষ্ক ত্বক তত বেশি বলীরেখা দেখা দেওয়া। ত্বকে বলীরেখা দেখা দেওয়ার মানেই হলো বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া।
মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণে রক্তে চিনির মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। যার ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় এবং শরীর ও মনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ চেহারার উপর প্রভাব ফেলে। যার ফল স্বরূপ অল্প বয়সেও চেহারার মাঝে বার্ধক্য দেখা দেওয়া শুরু হয়।
নানাবিধ কারণেই ত্বকে ব্রণ কিংবা র্যাশ দেখা দিতেই পারে। আবহাওয়াজনিত কারণ, অযত্ন কিংবা হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর মাঝে অন্যতম। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে হুট করেই অনেকের ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া শুরু হয়। সঠিক যত্নেও ব্রণ সহজে কমতে চায় না। এর প্রধান কারণ চিনি গ্রহণ। চিনি হরমোনের ইমব্যালেন্স তৈরি করে, যা সিবাম তৈরি বাড়িয়ে দেয়। যা সরাসরি ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
আরও পড়ুন: ব্যথা ও প্রদাহ কমাবে এই খাবারগুলো