কিডনি সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খেতে হবে

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-09-01 01:34:31

আমরা কিডনির বিষয়ে খুব একটা সচেতন ও সতর্ক নয় বলেই প্রায়শ কিডনিজনিত নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো, দুর্বল কিডনিতে খুব সহজেই নানাবিধ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে এই সমস্যাগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে থাকে দ্বিগুণ হারে।

কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম কোনভাবেই করা যাবে না। সেই সঙ্গে খাদ্যাভাসে রাখতে হবে কিডনির জন্য উপকারী খাদ্য উপাদান সমূহ।

লাল ক্যাপসিকাম

লাল ক্যাপসিকামে থাকে খুবই স্বল্প মাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনির জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এছাড়া এতে থাকে শরীরের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপেন (Lycopene), যা শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রসুন

অন্যান্য সকল ধরণের মূলসহ সবজীর মাঝে সবচেয়ে বেশি ঔষধি গুণাগুণ পাওয়া যায় রসুন থেকে। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি বিশেষভাবে উপকারিতা বহন করে। পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে রসুন কিডনি ফেইল্যুরের মতো বড় ধরণের সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ

প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদানটি হলো পেঁয়াজ অতি পরিচিত এই খাদ্য উপাদানটি রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা পরোক্ষভাবে কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়া থেকে বিরত রাখে।

লেবুর রস

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপকারী লেবুর রস একইসাথে কিডনিকে নানান ধরণের অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করে। লেবুর রস শরীরের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে কিডনির ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয় না।

হলুদ

পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও উপকারিতায় ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান হলো হলুদ। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মূলত কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে।

গাজর

সুস্বাদু এই সবজীটি থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ, যা কিডনি ও মূত্রাশয়কে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান থেকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া গাজর খাওয়ার ফলে শরীরে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা হ্রাস পায়। ক্ষতিকর ক্রিয়েটিনিন কিডনিজনিত নানান ধরণের অসুস্থতার অন্যতম বড় একটি কারণ।

তরমুজ

মিষ্টি ও মজাদার গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি থেকে পাওয়া যায় লাইকোপেন (Lycopene). যা খুব শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা অক্সিজেন রেডিক্যালকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: আঁশযুক্ত চার খাবারে ডায়বেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে

আরও পড়ুন: চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলছে যে খাদ্য উপাদানটি!

এ সম্পর্কিত আরও খবর