আলু, ডাল, বেগুন ভর্তা তো থাকবেই। সেই সাথে একটু লোভনীয় ও রাজকীয় ভর্তাও থাকা চায় নিশ্চয়।
চচ্চড়ি বা ভাজি রান্নায় নোনা ইলিশ ব্যবহার করা হয় অহরহ। নোনা ইলিশের ভর্তাও খুব একটা নতুন কোন রেসিপি নয়। তবে নোনা ইলিশের ভর্তা তৈরি বেশ কৌশলের বিষয়। একটুও এদিক-সেদিক হলে স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে একেবারে সঠিক রেসিপিতে তৈরি করা প্রয়োজন নোনা ইলিশ ভর্তা।
বৈশাখের বিশেষ আয়োজনে দেখে রাখুন কীভাবে তৈরি করবেন নোনা ইলিশের চমৎকার ও মজাদার ভর্তা।
১. ৫টি বড় টুকরা নোনা ইলিশ।
২. ৫টি পেঁয়াজ।
৩. ১ টেবিল চামচ আদা বাটা।
৪. ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা।
৫. ১/২ চা চামচ রসুন কুঁচি।
৬. ৫-৭টি কাঁচামরিচ।
৭. ১/২ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
৮. ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৯. ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
১০. ৪ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
১১. ১ টেবিল চামচ লেবুর রস।
১২. স্বাদমতো লবণ।
১. নোনা ইলিশ ছোট টুকরা করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য। পানি থেকে তুলে মাছ পরিষ্কার করে ফ্রেশ পানিতে মাছ ধুয়ে নিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে এতে পেঁয়াজ কুঁচি বাদামী করে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ ভাজাতে ধনিয়া গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে পানি দিতে হবে সকল মশলা ভালোভাবে মেশার জন্য। পানি ফুটে উঠলে এতে নোনা ইলিশের টুকরাগুলো দিয়ে কড়াইয়ের মুখ ঢেকে দিতে হবে।
৩. চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখতে হবে যেন মাছগুলো নরম হয়ে মশলার সাথে মিশে যায়। মাছ থেকে তেল ভেসে উঠলে চামচের সাহায্যে নেড়ে মাছ ও মশলা ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। লবণ প্রয়োজন হলে অল্প দিয়ে দিতে হবে।
৪. মাছ ও মশলা মিশে গেলে এক টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রকমারি মাছের কারি: ফিশ ফিঙ্গার