উৎসবের আনন্দ নিয়ে চলে আসবে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত পহেলা বৈশাখ। ইতোমধ্যে নিশ্চয় বৈশাখের প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। বৈশাখ উপলক্ষে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ, কুর্তি এবং তার সাথে মিলিয়ে গহনা ও টিপ- সবকিছুই হওয়া চাই একদম মনমতো।
এতো কিছুর মাঝে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গটি সাথে রাখতে যেন ভুল না হয়। সেটা হলো রোদচশমা। আবহাওয়ার মন-মেজাজে স্থিরতা নেই মোটেও। কখনো প্রবল বর্ষণ তো কখনো কাঠফাটা রোদের তাণ্ডব। তবে হাতে থাকা দিন চারেক পরে বৈশাখ মাস চলে আসলে রোদের আধিপত্যটাই দেখা দেবে বেশি।
রোদের মাঝে পহেলা বৈশাখে বের হলে চোখে রোদচশমা থাকাটা আবশ্যিক। এক্ষেত্রে ভুল হলে ভুগতে হবে নিজেকেই। রোদের অতিবেগুনী রশ্মি শুধু ত্বকের জন্যে নয়, চোখের জন্যেও সমানভাবে ক্ষতিকর। এছাড়া যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, রোদের আলো তাদের মাথাব্যথার সমস্যাটি বাড়িয়ে দিতে পারে। রোদচশমার ব্যবহারে যে সমস্যাটি খুব ভালোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যায়।
ভ্রমণ কিংবা এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরির অভ্যাস থাকলে সংগ্রহে রোদচশমা থাকবেই। এছাড়াও যারা ব্যাগ ও ঘড়ির মতো অনুষঙ্গের বিষয়ে সৌখিন, তাদের কাছেও রোদচশমা সমান গুরুত্ব পায়।
তবে বৈশাখের আমেজটা একেবারেই ভিন্ন। রংয়ে রঙিন বৈশাখের সাজ-পোশাকের সঙ্গে কালো রোদচশমা বেমানান লাগাটাই স্বাভাবিক।
রোদচশমাতেও যদি বৈশাখী আমেজের বর্ণীল আভা রাখতে চান, তবে খোঁজ করতে হবে অনলাইন ভিত্তিক ইসরাত স্বর্ণা’র প্রতিষ্ঠান ‘শেহরিজ কালেকশন’ পাতায়। মাইশা আতিকার নকশায় হাতে আঁকা রিকশা পেইন্টে রঙিন রোদচশমা পাওয়া যাবে বেশ কয়েকটি ভিন্ন নকশা ও ফ্রেমে।
ক্যানভাস চশমা নামের এই রোদচশমাগুলো ক্রেতারা খুব আগ্রহের সাথেই গ্রহণ করেছে বলে জানালেন ইসরাত। বার্তা২৪.কমকে বললেন, ‘ক্রেতাদের রেসপন্স খুবই ভালো। নতুন জিনিস হিসেবে সবাই খুব দারুন ভাবে গ্রহন করেছে’। সচেতনতামূলক বাক্যের পাশাপাশি ছোট ছোট বাংলা শব্দও জুড়ে দেওয়া হয়েছে এই সব ক্যানভাস চশমায়। ভিন্নমাত্রার এই রোদচশমাগুলোর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে সবার ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেই। প্রতিটি ক্যানভাস চশমা পাওয়া যাবে মাত্র ২৬০ টাকায়।
বৈশাখের সাজকে সম্পূর্ণভাবে বর্ণীল করতে এমন রিকশা পেইন্টের চশমাগুলো চমৎকার অনুষঙ্গ হতে পারে। শুধু চোখের সুরক্ষাতেই নয়, সাজে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতেও ব্যবহার করুন রোদচশমা।
আরও পড়ুন: বৈশাখী সাজে আলো ছড়াবে বাহারি টিপের সম্ভার
আরও পড়ুন: এবারের বৈশাখে কোন মোটিফে কেমন পোশাক!