মৌসুমের শুরুতে একদম ফ্রেশ ও তরতাজা তরমুজের প্রাণ জুড়ানো স্বাদের জুড়ি মেলা ভার। বৈশাখের দিনে ঘরোয়া পরিবেশনে মেহমানদের আপ্যায়নে কোমল পানীয় কিংবা ইন্সট্যান্ট জ্যুস না রেখে, মেন্যুতে রাখুন তরমুজের শরবত।
তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার রেসিপিতে তৈরি তরমুজের এই শরবতগুলো শুধু অতিথিদের জন্যেই নয়, নিজের জন্যেও তৈরি করতে পারবেন পুরো মৌসুম জুড়ে। অফিসে যাওয়ার আগে, অফিস থেকে এসে কিংবা লম্বা কোন ভ্রমণ বের হওয়ার আগে শরবতগুলো তৈরি করে নিতে পারবেন অল্প সময়ের মাঝে।
উপকরণ: ৪ কাপ তরমুজ, ৩ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১০টি বড় পুদিনা পাতা, ১০-১২টি আঙ্গুর, পরিমাণমতো বরফ।
প্রণালী: তরমুজের টুকরা থেকে বিচি সরিয়ে নিতে হবে। ব্লেন্ডারে সকল উপাদান একসাথে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী মধু কিংবা পুদিনা পাতা যোগ করা যেতে পারে। ব্লেন্ড হয়ে গেলে বরফ ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
উপকরণ: ২ কাপ পানি, ১ চা চামচ চা পাতা, ২ কাপ তরমুজ, ৫-৬টি পুদিনা পাতা, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ তোকমাদানা, ১-২ টেবিল চামচ মধু ও বরফ।
প্রণালী: দুই কাপ পানি ফুটিয়ে চা পাতা দিয়ে হালকা লিকার করতে হবে। চায়ে লালচে আভা আসতেই ছেঁকে নিতে হবে। চা তৈরির মাঝেই তোকমাদানা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ফুলে ওঠার জন্য। এবারে ব্লেন্ডারে লাল চা, তরমুজ, পুদিনা পাতা ও মধু একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড শেষে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশনের সময় তোকমাদানা ও বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
উপকরণ: ৪ কাপ তরমুজ, ১/২ কাপ লেবুর রস, ৪ কাপ পানি, ১ কাপ চিনি, ১০-১২টি বড় পুদিনা পাতা।
প্রণালী: তরমুজের বিচি বেছে তরমুজসহ সকল উপাদান একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী লেবুর রস কিংবা চিনি যোগ করা যেতে পারে। ব্লেন্ড করা শেষে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডিমের হালুয়ায় মিষ্টিমুখ
আরও পড়ুন: রকমারি মাছের কারি: রুই মাছের কালিয়া