যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই কর্মক্ষেত্র তথা অফিস, অফিসের পরিবেশ ও অফিসের মানুষদের ঘিরেই আবর্তিত হয় মন ভালো-খারাপ হওয়া, চিন্তা-ভাবনা ও ব্যক্তিত্ব।
কিন্তু অফিস ও অফিসের নানান সমস্যা যখন মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন সবকিছু সামলে নিজের কাজগুলো ঠিকভাবে ও পরিপূর্ণভাবে করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। মনে হতে থাকে শারীরিক ও মানসিক সকল শক্তি যেন বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কাজ করার ইচ্ছাটুকুও অনেক বড় বোঝা মনে হতে থাকে সে সময়ে।
আপনি নিজেও কি এমন অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে, তবে আজকের ফিচারটি বিশেষভাবে আপনার জন্যেই।
বর্তমান অবস্থাটি নিজের অনুকূলে না থাকতেই পারে। তার জন্যে বিচলিত হওয়া যাবে না মোটেও। বরং পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। হুট করে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মতো বিলাসিতা কোন সমাধান হতে পারে না। চেষ্টা করতে হবে বর্তমান অফিসেই অন্য ডিপার্টমেন্টে শিফট হওয়ার। এতে করে কাজের ধরণ ও কাজের পরিবেশে পরিবর্তন আসবে।
যদি ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তন করা সম্ভব না হয় তবে নতুন চাকরির খোঁজ শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্কশপে অংশ নিতে হবে। কিন্তু যেখানে কাজ করে নিজের ক্ষতি হচ্ছে, সেখানে দীর্ঘদিন থাকা যাবে না কোনভাবেই।
কর্মক্ষেত্রে একসাথে বহু মানুষ কাজ করেন। সবারই মন-মানসিকতা ভিন্ন হবে, চিন্তাধারা ব্যতিক্রম হবে। তবে এর মাঝেও এমন সহকর্মী পাওয়া যাবে, যার সাথে নিজের মানসিকতার মেলে। তাদের সাথে নিজের সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করলে, তারা আপনার সমস্যাটি বুঝতে পারবেন। প্রয়োজনে কোন সমাধান জানাতে পারবেন।
এতোদিনে যতগুলো কাজ করেছেন, প্রতিটি কাজ গুছিয়ে আলাদাভাবে ডকুমেন্ট তৈরি করে রাখুন। এতে পরবর্তিতে আপনি কাজের নিদর্শন প্রকাশ করতে পারবেন। কাজের পাশাপাশি, ই-মেইল, ম্যাসেজও সংরক্ষণ করুন ভালোভাবে।
কোনকিছুই সহজ নয় এবং প্রতিকূলতা থাকবে প্রতি পদে পদে। এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তাই নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ না হয়ে ভালো পরিস্থিততে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেই সাথে নিজের মধ্যে ইতিবাচক ভাব ধারণ করতে হবে দৃঢ়ভাবে। যেকোন পরিস্থিতিতে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারলে, সহজেই সেই সমস্যাটি উতরে যাওয়া যায়।
কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা চেপে রাখা বোকামি। এমন পরস্থিতি হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে অফিস অথোরিটিকে জানাতে হবে এবং সেই অনুযায়ি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা সময়ের সঙ্গে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে।
আরও পড়ুন: পছন্দের চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন?