শরীর ডিটক্সিফাই করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা এই তরলটি তৈরি করা হয় আপেলের রস থেকে।
এছাড়াও পেটের সমস্যা ও অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ওজন কমাতে কার্যকর এই পানীয়টি অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার সাথে রাখেন সুস্বাস্থ্য পাওয়ার উদ্দেশে।
তবে সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানা থাকে না বিধায় বিপত্তি দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার যতই উপকারী উপাদান হোক না কেন, নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে বেশি গ্রহণ করলে দেখা দিয়ে থাকে বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা। এখানে তার কয়েকটি জানানো হলো।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের প্রবল অ্যাসিডধর্মী ন্যাচারের কারণে নিয়মতি অ্যাপল সাইডার ভিনেগার গ্রহণে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা থেকে দাঁতের ক্ষয়রোগ দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যাটি মূলত বেশি দেখা দেয়, পানির সাথে সঠিকভাবে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার না মিশিয়ে পান করলে। এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হবে। তবেই এসিভির অ্যাসিডিক ধর্ম প্রশমিত হবে।
কিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে, এসিভি পানে খাদ্য ধীরে পরিপাক হয় এবং রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায় বেশ অনেকটা। খাদ্য ধীরে পরিপাক হওয়ার ফলে কিছু সময়ে পেট ফোলা ভাব, বমিভাব বা গ্যাস হওয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
বমিভাব ও খাদ্য পরিপাকের সমস্যার সাথে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি সম্পর্কিত বিধায় অনেকের প্রবল বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অবস্থা গুরুত্বর হলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা টক ঢেঁকুর ওঠার সমস্যাও দেখা দিবে। যাদের এমন সমস্যা দেখা দেয় বা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, সালাদের সাথে এসিভি মিশিয়ে খেতে হবে।
কিছু ক্ষেত্রে এসিভি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে ফেলে। যেহেতু আমাদের শরীরের পেশী ও স্নায়ু পেশী পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য সঠিক মাত্রার পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে এটা বেশ বড়সর একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: উপকারের আধার অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
আরও পড়ুন: রেফ্রিজারেটরে রাখবেন না এই খাবারগুলো