বিশেষত ওজন নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য আরও খানিকটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সকালের নাশতায় কি খাচ্ছেন, তার উপরেই মূলত নির্ভর করে ওজন কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও বাড়তি ওজন কতটা কমানো সম্ভব হবে।
মূলত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডায়েটেশিয়ানরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, প্রতিদিনের সকালের নাশতায় সঠিক মাত্রায় প্রোটিন, ফ্যাট, কার্ব, আঁশ ও প্রদাহ-বিরোধী খাবার রাখা প্রয়োজন। যা পুরোপুরি সঠিক।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণালব্ধ তথ্য জানাচ্ছে, বাড়তি ওজন কমানোর জন্য সকালের নাশতায় থাকা প্রয়োজন সবচাইতে স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস- ডিম। দেখা গেছে, নাশতায় ডিম খাওয়ার ফলে আট সপ্তাহে ৬৫ শতংশ পর্যন্ত বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব হয়।
অন্য আরেকটি গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, রক্তের চিনির মাত্রাকে এবং ঘনঘন ক্ষুধাভাবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে ডিম।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের নিউট্রিশন কম্যুনিকেশনের ম্যানেজার অ্যালিসা পাইক জানান, যারা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও সুস্বাদযুক্ত খাবার রাখতে চান সকালের নাশতায়, তাদের জন্য ডিম সবচেয়ে ভালো খাদ্য উপাদান। উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে লম্বা সময় ধরে পেট ভরা থাকে। ফলে ক্ষুধাভাব অনেকটাই প্রশমিত হয় এবং যার প্রভাবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণের কাঁটায় আনা সহজ হয়ে যায়।
১৮০ ক্যালোরিযুক্ত দুইটি ডিমের সাথে নাশতায় ফল, দই ও ওটস রাখা যেতে পারে স্বাচ্ছন্দে। এছাড়াও ডিমে থাকা ভিটামিন-বি১২, রিবোফ্লাবিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ সারাদিন শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে কাজ করে।
আরও পড়ুন: তিনগুণ দ্রুততায় ওজন কমবে সহজ ‘একটি’ অভ্যাসে
আরও পড়ুন: কী থাকবে সকালের নাস্তায়?