গ্যাস্ট্রোএসোফেজাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (Gastroesophageal Reflux Desease) তথা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ফলেই মূলত বুক জ্বালাপোড়া করে। পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে আসার ফলে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে।
একদিকে খাবার যেমনভাবে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি তৈরি করে, তেমনিভাবে কিছু খাবার বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমিয়েও থাকে। খাদ্যাভাসের প্রতি সচেতন হলেও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখলে বুক জ্বালাপোড়া দেখা দেওয়ার প্রভাব কমে যাবে অনেকটা।
আদাতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাসজনিত সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। আদা গ্রহণের জন্য আদা কুঁচি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ছেঁকে পান করতে হবে।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা হিলিং উপাদান হিসেবে বিশেষ পরিচিত। প্রাকৃতিক ও উপকারী এই উপাদানটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা খুব দ্রুত কমাতে কাজ করে। অ্যালোভেরা গ্রহণের জন্য পাতার জেলের অংশ ছেঁচে নিয়ে পানি ও মধুর সাথে মিশিয়ে পান করতে হবে।
অনেকেই সকালের নাশতা হিসেবে ওটস খেতে ভালোবাসেন। সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যাদের বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটা বিশেষ উপকারী নাশতা হিসেবে বিবেচিত হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশসমৃদ্ধ ওটস অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে বাধা দান করে। যদি ওটস সহজলভ্য না থাকে তবে হোল গ্রেইন ব্রেড খেতে হবে।
ডিমের সাদা অংশে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাট। যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি কমাতে কাজ করে। তবে সম্পূর্ণ ডিম খাওয়া যাবে না। ডিমের সাদা অংশ খেলে উপকার পাওয়া গেলেও ডিমের কুসুম থেকে দূরে থাকতে হবে।
ফলের মাঝে কলা বুক জ্বালাপোড়া কমায়। pH5.6 সমৃদ্ধ এই ফলটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমিয়ে ফেলে। তবে ১ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কলা খাওয়ার ফলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কলিফ্লাওয়ার ঘরানার সবজির মাঝে ফুলকপি, ব্রকলি, অ্যাসপ্যারাগাস অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাটি প্রতিরোধে কাজ করে। মূলত যেকোন ধরনের সবুজ সবজিই এক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে অন্যান্য যে সকল ফলে
আরও পড়ুন: কিডনি সুস্থ রাখতে যে খাবারগুলো খেতে হবে