গর্ভধারণজনিত কারণ ছাড়াও বয়ঃসন্ধিকালীন ও অতিরিক্ত ওজনের ফলে ত্বক ফেটে যায়। যা থেকে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দেয়।
ত্বকের ফাটা দাগ পুরোপুরি দূর না করা গেলেও, প্রাকৃতিক উপাদান ও ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহারে, এই সমস্যাটি অনেকখানি কমিয়ে আনা যায়। এই ফিচারে ক্যাস্টর অয়েলের তিন ভিন্ন ব্যবহার তুলে ধরা হলো, যা ত্বকের ফাটা দাগের প্রাদুর্ভাব কমাতে কাজ করবে।
এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি আলুর রস ও দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে কয়েক ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে। ঠাণ্ডা তেলের মিশ্রণটি ত্বকের ফাটা দাগযুক্ত স্থানে তিরিশ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে আরও তিরিশ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে স্থানটি ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারই যথেষ্ট।
কেন এটা কাজ করবে?
তেলের এই মিশ্রণটি ত্বকের ইলাস্টিসিটির মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের গভীর থেকে আর্দ্রতা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ভালো হতে সাহায্য করে।
এই মিশ্রণ তৈরিতে প্রয়োজন হবে ৫-৬টি লবঙ্গ ও দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। প্রথমে এই দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে। তেলের রঙে পরিবর্তন আসলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। এই তেলটি ফাটা দাগযুক্ত স্থানে পনের মিনিট ম্যাসাজ করে আধা ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। পরবর্তিতে কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এই তেলটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
কেন এটা কাজ করবে?
ত্বকের ফাটা দাগ দূর করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষত ক্যাস্টর অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহারের ফলে এর উপকারিতা বেড়ে যায় অনেকখানি।
এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ার সাথে এক চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে। প্রায় ঘন্টাখানিক মিশ্রণটি ত্বকে রেখে দেওয়ার পর কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে।
কেন এটা কাজ করবে?
ত্বকের যত্নে হলুদ গুঁড়া ও অলিভ অয়েলের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। এই উপাদানগুলোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ত্বকের ফাটা দাগ কমাতে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে কাজ করবে।