মুরগির রোস্ট, গরুর কালাভুনা কিংবা খাসির রেজালা না হলে ঈদের মেন্যু হয় নাকি! ঈদ আয়োজনে মাছের কোন পদ থাকে না কখনোই। কালেভদ্রে মাছ ভাজা থাকলেও মাছের জমকালো রান্না করা হয় না একদম।
ঈদের তৃতীয় দিনের মেন্যুতে মাছের মুখরোচক পদ রাখতে চাইলে মাছের কোফতা কারি রেঁধে নিতে পারেন। যা খাবার ভিন্নমাত্রা যোগ করবে খুব সহজেই।
১. আধা কেজি রুই মাছ।
২. এক চা চামচ লবণ ও এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৩. একটি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
৪. এক টেবিল চামচ আদা-রসুনের বাটা।
৫. ৩-৪টি কাঁচামরিচ কুঁচি।
৬. এক চা চামচ মরিচের গুঁড়া।
৭. এক চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৮. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
৯. ধনিয়া পাতা কুঁচি।
১০. অর্ধেকটি লেবুর রস।
১১. ১/৪ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস।
১২. একটি ডিম।
১৩. ২-৩ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার।
১৪. আধা কাপ রান্নার তেল।
১. একটি পেঁয়াজ বাটা।
২. দুই টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা।
৩. একটি বড় টমেটো বাটা।
৪. ৫-৬টি কাজুবাদাম বাটা।
৫. এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৬. এক চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৭. এক চা চামচ কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া।
৮. এক চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৯. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
১০. দেড় কাপ গরম পানি।
১১. চার টেবিল চামচ হেভি ক্রিম।
১২. ৪-৫টি কাঁচামরিচ ফালি।
১৩. পরিমাণ মতো তেল।
১৪. স্বাদমতো লবণ ও চিনি।
১. মাছের টুকরোগুলো কেটে ধুয়ে এতে লবণ ও হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে নিতে হবে।
২. কড়াইতে ৪-৫ টেবিল চামচ তেল গরম করে এতে মাছের উভয় পাশ পাঁচ মিনিটের জন্য ভেজে তুলে নিতে হবে। ভাজা মাছ বেছে কাঁটা ফেলে দিতে হবে।
৩. ভিন্ন একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, সামান্য লবণ, সকল ধরনের গুঁড়া মশলা ও ধনিয়া পাতা কুঁচি নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এতে লেবুর রস যোগ করতে হবে
৪. মশলার মিশ্রণে মাছ, একটি ডিম ও ব্রেড ক্রাম্বস দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে আরও খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার যোগ করতে হবে।
৫. মাছের মিশ্রণ হাতের তালুইতে নিয়ে ছোট বলের আকৃতি করে গরম তেলে ভেজে নিতে হবে। এভাবে সবটুকু মাছের মিশ্রণ থেকে মাছের কোফতা ভেজে নিতে হবে। কোফতা বাদামী বর্ণ ধারণ করতে নামিয়ে তেল ঝরিয়ে নিতে হবে।
৬. এবারে মাছের ঝোল তৈরির জন্য কড়াইতে আরও তিন টেবিল চামচ তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ বাটা ভাজতে হবে। এরপর এতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে আরও মিনিট তিনেক ভাজতে হবে। এরপর এতে সকল গুঁড়া মশলা দিয়ে ৩-৪ মিনিট নাড়তে হবে।
৭. এতে কাজুবাদাম বাটা ও টমেটো বাটা দিয়ে নেড়ে স্বাদমতো অল্প লবণ ও চিনি যোগ করতে হবে। সকল মশলা মিশে আসলে এতে গরম পানি দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে। ঝোল ফুটতে শুরু করলে এতে মাছের কোফতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। এর উপরে ধনিয়া পাতা কুঁচি ও কাঁচামরিচ ফালি ছিটিয়ে মুখ ঢেকে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ পর মুখ খুলে দেখতে হবে ঝোল টেনে এসেছে কিনা। ঝোল টেনে তেলে ভেসে উঠলে পানিয়ে ধনিয়া পাতা কুঁচি ও বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অল্প সময়ে চিংড়ির ঝাল মালাইকারি
আরও পড়ুন: ভেটকি মাছের বেগম বাহার