তবে মাছের ক্ষেত্রেও যদি একটু ভিন্ন ঘরানার পদ খেতে ইচ্ছা হয় তাহলে রাঁধতে হবে মাছের রেজালা। নাম শুনে একটু অবাক হলেও, মজার এই খাবারটি খেয়ে অবাক হতে হবে আরও অনেকটা বেশি। শুধু খাসির মাংসেরই নয়, যে কোন মাছ দিয়েই তৈরি করা সম্ভব মাছের রেজালা, যদি সঠিক রেসিপিটি জানা থাকে। সেই রেসিপিটিই জেনে নিন আজকে।
১. ৩-৫ পিস মাছের বড় টুকরা (রুই, কাতলা, কার্প, তেলাপিয়া)।
২. দুইটি মাঝারি পেঁয়াজ বাটা।
৩. দুই টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা।
৪. চার টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা।
৫. চার টেবিল চামচ টকদই।
৬. জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া প্রতিটি এক চা চামচ।
৭. ৩-৪টি কাঁচামরিচ ফালি।
৮. তিনটি শুকনা মরিচ।
৯. তিনটি কালো গোলমরিচ।
১০. দুইটি এলাচ।
১১. একটি লবঙ্গ।
১২. মাঝারি আকৃতির একটি দারুচিনি স্টিক।
১৩. ১/৪ কাপ তেল।
১৪. এক টেবিল চামচ ঘি।
১৫. আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়া।
১৬. কয়েক ফোঁটা কেওড়াজল।
১৭. ১/৪ কাপ গরম পানি।
১. মাছের টুকরোগুলোতে ভালোভাবে লবণ মাখিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে উভয় পাশ দুই মিনিট সময় নিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে উঠিয়ে ভিন্ন পাত্রে রাখতে হবে।
২. একই তেলে দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, গোলমরিচ, শুকনামরিচ দিয়ে ভাজতে হবে। কিছুক্ষণ পর এতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে মিনিট পাঁচেক নেড়েচেড়ে আদা-রসুন বাটা দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক নাড়তে হবে।
৩. এতে কাজুবাদাম বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে দই দিয়ে অল্প জ্বালে মিনিট পাঁচেক নেড়ে লবণ, চিনি, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক নাড়তে হবে।
৪. এবারে এই মশলার মিশ্রণে গরম পানি দিয়ে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে দিতে হবে। মিনিট পাঁচেক পর পাত্রের মুখ খুলে মাছগুলো উল্টে পুনরায় মুখ ঢেকে দিতে হবে।
৫. মিনিট পাঁচেক পর পাত্রের মুখ খুলে দেখতে হবে ঝোল টেনে এসেছে কিনা। ঝোল টেনে আসলে কাঁচামরিচ ফালি, কেওড়াজল, গরম মশলা পাউডার ও ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে দিয়ে আরও মিনিট দশেক চুলায় রেখে নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মাছের কোফতা কারিও থাকুক ঈদ আয়োজনে
আরও পড়ুন: পান্তা ভাতের সাথে সর্ষে রুই